৩০তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব এক সপ্তাহ ধরে চলার পর আজ শেষ হতে চলেছে। পুরো সপ্তাহজুড়ে সিনেমাপ্রেমীরা ভিড় জমিয়েছেন নন্দন প্রাঙ্গণে এবং শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। শেষ দিনেও ভিড়ের কমতি থাকবে না। যারা এখনও কিছু দুর্দান্ত সিনেমা মিস করেছেন, তাদের জন্য শেষ দিনের তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি দারুণ সিনেমা। সহজ ভাষায় চলুন জেনে নেওয়া যাক শেষ দিনে কোন সিনেমাগুলি দেখার সুযোগ রয়েছে।
নন্দন ১-এ প্রথম শো: “ব্লিক সানডে আফটারনুন”…
ব্রাজিলের পরিচালক গুস্তাভো গালভাওয়ের এই সিনেমা একজন অভিনেত্রীর জীবনের সংগ্রামকে কেন্দ্র করে তৈরি। গল্পটি একজন সফল অভিনেত্রীর জীবন নিয়ে, যিনি তারকা জগতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তবে তার ভেতরে সবসময় একটি দ্বিধা কাজ করে—এই সেলিব্রিটি জীবন তাকে আনন্দ দিচ্ছে না। নিজের খ্যাতি ধরে রাখার জন্য যে লড়াই করতে হয়, সেই টানাপোড়েনই ছবির মূল বিষয়বস্তু। দুপুর ২টায় নন্দন ১-এ এই সিনেমাটি দেখতে পারবেন।
নন্দন ২-এ দ্বিতীয় শো: “মোটেল ডেস্টিনো”….
ব্রাজিলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল “মোটেল ডেস্টিনো”। এটি পরিচালনা করেছেন করমি আনোজ। সিনেমাটি একটি ইরোটিক থ্রিলার, যা রহস্যে ভরা এবং দর্শকদের শেষ পর্যন্ত আকর্ষিত করে রাখবে। এই ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হয়েছিল। যারা রহস্য এবং উত্তেজনা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত পছন্দ হতে পারে। বিকেল ৪টায় নন্দন ২-এ সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।
নজরুল তীর্থে সন্ধ্যার শো: “দ্য রুম নেক্সট ডোর”…
যারা আগের দিন “দ্য রুম নেক্সট ডোর” মিস করেছেন, তাদের জন্য এটি দেখার আরেকটি সুযোগ। পালমা দোভারের এই সিনেমা আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত। এটি একটি সংবেদনশীল এবং গভীর গল্প নিয়ে তৈরি। সিনেমাটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নজরুল তীর্থে প্রদর্শিত হবে।
শেষ দিনের পরিবেশ….
চলচ্চিত্র উৎসব মানেই সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এক উৎসবমুখর সময়। শেষ দিনেও নন্দন চত্বরে থাকবে ভিড়, আলোচনা, আর সিনেমা নিয়ে উন্মাদনা। বিভিন্ন ঘরানার সিনেমার প্রদর্শনী ছাড়াও দর্শকদের মধ্যে থাকবে এক বিশেষ আবেগ। যারা শেষ মুহূর্তে উৎসবে যোগ দিচ্ছেন, তাদের জন্য এই সিনেমাগুলি দেখার দারুণ সুযোগ।
প্রতিটি সিনেমারই আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কেউ যদি একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্ব দেখতে চান, তবে “ব্লিক সানডে আফটারনুন”। যদি রহস্যপ্রেমী হন, তবে “মোটেল ডেস্টিনো”। আর যদি আন্তর্জাতিক মানের গল্প দেখতে চান, তবে “দ্য রুম নেক্সট ডোর”।কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব প্রতি বছরই নতুন নতুন সিনেমা এবং শিল্পীদের নিয়ে হাজির হয়। এটি শুধু সিনেমা দেখার জায়গা নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা, যেখানে শিল্প, সংস্কৃতি এবং গল্পের মেলবন্ধন ঘটে। তাই, উৎসবের শেষ দিনে অবশ্যই সময় করে একটি সিনেমা দেখে নিন।