সম্প্রতি বরুণ ধাওয়ান পিতৃত্ব নিয়ে খোলামেলা কথোপকথন করেছেন এবং একজন বাবা হিসেবে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ২০২৪ সালের ৩ জুন স্ত্রী নাতাশা দালালের সাথে তিনি কন্যা লারাকে স্বাগত জানান। বাবা হওয়ার পর থেকে বরুণের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। তার মতে, পিতৃত্বের ফলে তিনি এক ধরনের শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক অনুভূতি অর্জন করেছেন, যা তাকে মেয়েকে রক্ষা করার জন্য একটি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধতার দিকে পরিচালিত করছে।
পিতৃত্বের দায়িত্ব এবং অনুভূতি নিয়ে বরুণের খোলামেলা মন্তব্য…..
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, বরুণ তার এই নতুন অভিজ্ঞতার কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেক সময় মাতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং মায়েদের প্রতিরক্ষামূলক মনোভাবকে বাঘিনীর সাথে তুলনা করা হয়। তবে পিতৃত্বও এমন কিছু অনুভূতি নিয়ে আসে যা মেয়েকে রক্ষা করার এক দৃঢ় তাগিদ জাগিয়ে তোলে। বরুণ জানান, যদি কখনো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে তার মেয়ের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তিনি তা সহ্য করবেন না। এ ধরনের প্রতিরক্ষামূলক মনোভাব তার মেয়েকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি হিসেবে তিনি অনুভব করছেন।
নিজের বাবাকে নতুন করে বুঝতে শিখলেন বরুণ ধাওয়ান…
বরুণ ধাওয়ান আরো শেয়ার করেছেন যে, তিনি বাবা হওয়ার পর তার নিজের বাবা, পরিচালক ডেভিড ধাওয়ান সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে শিখেছেন। ছোটবেলায় তার বাবা সবসময়ই তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন, নিয়মিত তাকে সময়মতো বাড়িতে থাকার জন্য বলতেন এবং পরিবারের সবাই একসাথে থাকার উপর গুরুত্ব দিতেন। সেই সময়ে বরুণ হয়তো বুঝতে পারেননি তার বাবার উদ্বেগের আসল কারণ, বরং অনেক সময় তা অবুঝ শাসন হিসেবে দেখতেন। তবে এখন নিজেই বাবা হওয়ার পর তিনি বুঝতে পারছেন, তার বাবার এই উদ্বেগ এবং কঠোর মনোভাব আসলে একটি সন্তানের প্রতি সুরক্ষার স্বাভাবিক অনুভূতিরই প্রকাশ।
এই পরিবর্তন শুধু তার ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেই নয়, তার কর্মজীবনেও প্রভাব ফেলেছে। তিনি এখন পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হতে আরও উৎসাহী এবং সংবেদনশীল হয়ে উঠেছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি তাকে নিজের চরিত্রে আরও গভীরভাবে মগ্ন হতে সাহায্য করছে, যা তার অভিনয়েও প্রতিফলিত হচ্ছে।
কর্মজীবনের দিক থেকে বলতে গেলে, বরুণের নতুন ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’ মুক্তি পেয়েছে। এটি সিটাডেল সিরিজের অংশ, যা ২০২৩ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং রিচার্ড ম্যাডেনের অভিনীত মূল সিরিজের প্রিক্যুয়েল। এই সিরিজে বরুণ এবং সামান্থা রুথ প্রভু প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রজেক্টটি মুক্তির আগেই অনেক আলোচিত হয়েছে এবং দর্শকদের মধ্যে একটি বড় প্রত্যাশা তৈরি করেছে। এই সিরিজের মাধ্যমে বরুণ নতুন ধরণের চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন, যা তার ক্যারিয়ারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
বরুণ ধাওয়ানের জীবনে পিতৃত্ব এবং ক্যারিয়ারের এই নতুন অধ্যায় তাকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে এবং নতুন দায়িত্ব ও উপলব্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।