বরুণ ধাওয়ান এবং নাতাশা দালালের জীবনে নতুন খুশির বন্যা বইয়ে দিয়েছে তাঁদের কন্যাসন্তানের আগমন। চলতি বছর জুন মাসে বাবা হওয়ার সুখবরটি নিজেই সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন বরুণ। তবে দীর্ঘ দিন ধরে মেয়ের নামটি গোপন রেখে তিনি অবশেষে তাঁর কন্যার নাম প্রকাশ করেছেন, যা সকলেই জানতে চেয়েছিল। বরুণ জানিয়েছেন, তাঁদের শিশুকন্যার নাম রাখা হয়েছে ‘লারা’।
বরুণ ধাওয়ান সম্প্রতি ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেখানে অমিতাভ বচ্চনের প্রশ্নের উত্তরে তিনি মেয়ের নাম ঘোষণা করেন। এই অনুষ্ঠানটি ছিল এক বিশেষ উদযাপনের মতো, কারণ দীপাবলির আগে পরিবারে নতুন সদস্য এসেছে, যা তাঁদের জন্য একটি নতুন আশার সূচনা করেছে।
এক নতুন জীবনের সূচনা,বরুণ ও নাতাশার সন্তানের আগমন
লারা নামের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে অর্থ রয়েছে। যেমন, লাবণ্য, সুরক্ষা এবং জয়। গ্রিক ভাষায়, লারা মানে দেবদূত। লাতিন সংস্কৃতিতে, এটি বাড়ি ও জমির রক্ষক দেবতার নাম হিসেবে পরিচিত। রাশিয়ায় ‘লারিসা’ নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবেও লারা ব্যবহৃত হয়, যার অর্থ ‘আনন্দিত’। এর ফলে লারা নামটি শুধু একটি পরিচিতি নয়, বরং বিভিন্ন অর্থের সমাহার, যা শিশুটির ভবিষ্যতের বিভিন্ন সম্ভাবনাকে প্রতিফলিত করে।
বরুণ এবং নাতাশার জীবনের এই অধ্যায়টি সত্যিই স্মরণীয়, কারণ তাঁরা ২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দীর্ঘ ১৪ বছরের বন্ধুত্বের পরে, যখন বরুণ নাতাশাকে প্রস্তাব দেন, তখন নাতাশা প্রথমে রাজি হননি। বরুণের চেষ্টা এবং ভালোবাসা অবশেষে নাতাশাকে তাঁকে গ্রহণ করতে রাজি করায়। তাঁদের সম্পর্কের এই বিশেষ মুহূর্তগুলি বরুণ এবং নাতাশার প্রেমের গভীরতা এবং একে অপরের প্রতি আনুগত্যকে প্রমাণ করে।
বরুণ ধাওয়ানের কন্যার আগমনে পরিবারে উচ্ছ্বাস,
এই সন্তানটি শুধুমাত্র বরুণ এবং নাতাশার জন্য নয়, বরং তাঁদের পরিবারের সকল সদস্যের জন্য একটি বিশেষ উপহার। বরুণ জানিয়েছিলেন, “আমাদের শিশুকন্যা এসে গিয়েছে। মা এবং সন্তানের জন্য বহু শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে। তাই সকলকে ধন্যবাদ।” এটি স্পষ্ট যে, তাদের সন্তানের আগমন কতটা আনন্দ এবং উচ্ছ্বাসের জন্য কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে শিশুর ছবি না থাকলেও, বরুণের বাবা হওয়ার অনুভূতি ও প্রতিশ্রুতি শুনে বুঝতে পারা যায় যে, তিনি মাতৃত্বের আনন্দে ভাসছেন। জীবনের নতুন দায়িত্ব, ভালবাসা ও দায়িত্বের সাথে জড়িয়ে আছে, যা তাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। লারা পরিবারের জীবনে এনে দেবে নতুন রঙ এবং নতুন উদ্দীপনা, যা তাঁদের আগামী দিনগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
এখন বরুণ ধাওয়ান এবং নাতাশা দালাল তাঁদের কন্যাকে নিয়ে একটি নতুন জীবন শুরু করতে প্রস্তুত, এবং নিশ্চিতভাবেই তাঁদের জীবনে এই নতুন অধ্যায়টি এক অভূতপূর্ব সুখ ও শান্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।