হৃত্বিক রোশন তাঁর অবিশ্বাস্য ফিটনেস এর জন্য পরিচিত দর্শকমহলে। কাহোনা পেয়ার হ্যায় সিনেমার মাধ্যমে ডেবিউ করেন এই তারকা। এর পর একের পর এক হিট ছবি দিয়েছেন তিনি। অভিনয়ের সাথে সাথে অবিশ্বাস্য ফিটনেসের জন্য হাজার হাজার মেয়ের হার্টথ্রব হয়ে উঠেছেন হৃত্বিক। একপ্রকার বলা চলে তিনি এভারগ্রিন। তবে তাঁর এই ফিটনেসের পিছনে আছে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ডেডিকেশন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য তিনি যে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান আসুন তা জেনে নেওয়া যাক।
তার জিম প্রশিক্ষক ক্রিস গেথিন জানান হৃত্বিক গোটা দিনের ডায়েট চার্ট এবং জিম এর পরিকল্পনা। তাঁর জিম প্রশিক্ষক বলেন গোটা পরিকল্পনাটি নির্ভর করে শুটিংয়ের সময়ের ওপর । সেই অনুযায়ী তৈরী হয় তার ডায়েট চার্ট। সপ্তাহের পাঁচ দিন ওয়ার্কআউট করেন তিনি। সপ্তাহের একদিন তিনি ছুটি নেন এই ধারাবাহিক নিয়ম থেকে। তার ওয়ার্ক আউটের সময় ৪৫ থেকে ৭০ মিনিটের ও বেশি হয়। ওয়ার্ক আউটের তালিকা খুব সংক্ষিপ্ত হলেও অত্যন্ত কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যান তিনি। প্রতিদিন তিনি ১০ হাজারেরও বেশি স্টেপ হাঁটেন। প্রায়শই তাকে দেখা যায় সমুদ্রের ধারে জগিং করতে আবার কিছু সময় তিনি সাঁতারও কাটেন। তার এই ধারাবাহিক ওয়ার্ক আউটকে আকর্ষণীয় করতে গেথিন ওয়ার্ক আউট তালিকা পরিবর্তনের উপর জোর দেন। হৃত্বিক সকাল পাঁচটা থেকে ছটার মধ্যে গ্রহণ করেন তার খাদ্য তালিকার প্রথম খাদ্য এবং তার ৪৫ মিনিট পর তিনি জিমে যান। রাত ন’টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। গেথিন আরো জানান দিনে দুবার করেও কার্ডিও করেন হৃত্বিক। তার ডায়েট চ্যাটের মধ্যে আছে ডিমের সাদা অংশ প্রায় ছটি এবং অ্যাভোকাডো, যা দিয়ে তিনি তার দিনে শুরু করেন। এছাড়াও রয়েছে মুরগির মাংস, হাই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ওটস, ভাত এবং মিষ্টি আলু। তিনি দিনে প্রায় ছয় থেকে সাত বার খাবার খান, কিন্তু যদি তিনি তা না করতে পারেন তবে সেটি শেকের আকারে পান করেন, তবে তিনি সাধারণত চেষ্টা করেন পুরো খাবার খাওয়ার। তিনি তার জিমে শরীরের কিছু অংশের ওপর বিশেষ নজর দেন যেমন পিঠ বাইসেপ, ট্রেইসেপ ইত্যাদি এবং সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে শেষ খাবার গ্রহণ করেন তার ডায়েট তালিকার।
হৃত্বিক সময়ের সাথে সাথে মেনটেন করেছেন নিজেকে প্রতিনিয়ত তার ফলও পেয়েছেন তিনি। বলিউডে সর্বোপরি ফিট নায়কের তকমা পেয়েছেন হৃত্বিক। বহু কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাকে প্রতিনিয়ত। দর্শকরা এই আশাই রাখেন পরবর্তীকালে তাকে দেখা যাবে আরো নতুনভাবে।