‘পুষ্পা’ সিনেমার অসামান্য সাফল্যের পর এবার বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে ‘পুষ্পা ২’। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘পুষ্পা ২’র আইটেম গান ‘কিশিক’। এরআগে ‘পুষ্পা’ সিনেমার আন্টাভা গান এর আগে মনজয় করেছে বহু দর্শকের। তবে ততটাও ভালোবাসা পাচ্ছে না কিশিক গান। উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায় এই গানের বাংলা ভার্সান গেয়েছেন, যা ইতিমধ্যেই হইচই ফেলে দিয়েছে। শ্রীজাতর লেখা এই গান নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় চলছে বিস্তর আলোচনা। দর্শকের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
কেমন ছিল এই গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা?
সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে সব জানালেন গায়িকা উজ্জয়িনী। উজ্জয়িনী জানান ভালোই রেসপন্স পাচ্ছেন দর্শকদের থেকে। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত থেকে খুব ভালো রিভিউ পাচ্ছেন গানটা নিয়ে। বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের থেকেও খুব ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন গায়িকা। বিক্রম ঘোষ আগে থেকেই জানতেনই উজ্জয়িনী গান রেকর্ড করবেন। উনিও আলাদা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
উজ্জয়িনী বলেন, এই শুভেচ্ছাগুলোই খুব বড় প্রাপ্তি তাঁর কাছে। যখন নিজের ফ্রেটারনিটি লোকেরা, তাঁর কাজ পছন্দ করেন, তখন সত্যিই খুব ভালো লাগে। অনুপ্রেরণা পান। কয়েকদিন আগেই মধুমন্তী বাগচীর সঙ্গে নাকি তাঁর কথা হচ্ছিল, মধুবন্তীই তাঁকে জানিয়েছেন, দেবী শ্রী প্রসাদ (পুষ্পা ২ সুরকার) তাঁর গান খুব পছন্দ করেছেন। একথা শুনে তিনি আপ্লুত। রেকর্ডিংয়ের সময় তিনি ছিলেন না। পরে শুনেছেন। দেবী শ্রী প্রসাদের মতো আইকনিক সুরকারের কাছ থেকে এমন প্রশংসা পাওয়া সত্যিই খুব আনন্দের। খুব অনুপ্রাণিত অনুভব করেছেন গায়িকা।
রাত দুটোয় শেষ হয়েছিল গানের রেকর্ডিং
তিমির বিশ্বাস উজ্জয়িনীর নাম রেফার করেছিলেন এই গানের জন্য। এসপি অভিষেকের সঙ্গে রাত একটার সময় রেকর্ডিং স্টুডিওতে পৌঁছন গায়িকা। অভিষেকও খুব ভালো একজন গায়ক। আর ফোনে ছিলেন শ্রীজাত। ফোনেই শ্রীজাত যেভাবে তাঁকে সাহায্য করেছেন, তা বলে বোঝানো যায় না। অদ্ভুত একটা ভরসা পেয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ সব কাজ মিটল রাত ২ টোর সময়।
‘পুষ্পা ২’র এই গানটা একটু র্যাপ ঘরানার। র্যাপের পর একটা, দুটো লাইন রয়েছে, যেটা মেলোডি, মূলত যা কোরাসে রয়েছে। এই ঘরানার গান পাশ্চাত্যেও হচ্ছে আজকাল। বলিউডেও ডান্স নাম্বারেও এমন কাজ হচ্ছে। তবে একটু কম হচ্ছে। গান শুনে উজ্জয়িনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রীজাত। এমনকী, তাঁর ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট বক্সেও মন্তব্য করেছেন।
এর আগে মধুমন্তীর গাওয়া ‘আজ কি রাত’ গানটার একটা বাংলা ভার্সান হয়েছে। যেটা উজ্জয়িনীই গেয়েছেন। সেই গানটা করার সময় এবং শোনার সময় তাঁর মনে হয়েছে, শব্দের মধ্যে সেই ভাবপ্রকাশ হয়নি। যেটা হিন্দিতে রয়েছে। সেই কারণেই কিন্তু শ্রোতাদের তরফ থেকেও একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। তবে এখানে শ্রীজাতর লেখার হাতযশের প্রশংসা করেন গায়িকা। যার জন্য এই গানটার মূলভাবটা নষ্ট হয়নি। বরং কিছু কিছু জায়গায় আসলটার থেকেও অনেক বেশি শ্রুতি মধুর হয়েছে। এটা কিন্তু শ্রোতারাই বলছে। এখানেই কিন্তু একটা অভিজ্ঞতা কাজ করে। আসলে, সুরকার দেবী শ্রী প্রসাদ খুব স্পষ্ট ছিলেন, তিনি কী চান! ওরা ঠিক যেমনটা চাইছেন, তেমনই কাজটা দিতে হবে। সেদিক থেকে কিন্তু একেবারে পারফেক্ট হয়েছে এই গানটি।
দর্শকদের থেকে পাওয়া পজিটিভ প্রতিক্রিয়া গুলোই মনে রাখতে চান গায়িকা, বাদ বাকি নয়। আসলে, সবাইকে খুশি করা যায় না। তিনি বলেন ট্রোলিং একটা পেশা। অনেকই বসে থাকেন কীভাবে নতুন নতুন পদ্ধতিতে ট্রোল করা যায়। তাই এসব বিষয়কে বেশি পাত্তা দিচ্ছেন না গায়িকা। সঙ্গে পুষ্পা সিনেমার গানের সঙ্গে এই গানের কোনো ধরনের তুলনাও করেন না উজ্জয়িনী।