ইন্ডিয়ান আইডলের ১৫ তম সিজন শুরু হয়েছে। আর অনান্য বছরের মতো এবারও সোনি টিভির মঞ্চে হাজির একঝাঁক তরুণ বাঙালি শিল্পী। বাংলার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছেন বিচারক ও দর্শকরা। রিয়ালিটি শো এর নতুন পর্বে মেগা অডিশনে গাইতে শোনা গেল কলকাতার মেয়ে মানসী ঘোষকে। ২৪ বছরের এই মেয়ের স্বতস্ফূর্ত স্বভাব নজর কাড়ে বিচারকদের। তবে তাঁর গান আরও বেশি দাগ কেটেছে শ্রেয়া, বিশাল, বাদশাদের মনে।
চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর থেকে সোনি টিভির পর্দায় শুরু হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৫’। এই শোটি প্রতি শনিবার এবং রবিবার রাত ৯ টা থেকে সোনি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে। বিচারকের ভূমিকায় আছেন বিশাল দাদলানি, বঙ্গকন্যা শ্রেয়া ঘোষাল ও বাদশা। তিন বিচারকের সঙ্গে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করছেন আদিত্য নারায়ণ।
শুরুতেই ‘ধুম মাচালে’ গেয়ে সকলকে চমকে দেন মানসী। সুনীধি চৌহানের এই ‘সেক্সি’ নাম্বার শুনিয়ে রীতিমতো শ্রেয়া বাদশাদের ‘ক্রেজি’ করলেন মানসী। তাঁর কণ্ঠের মাদকতা ও উচ্ছ্বাস মন জিতেছে সকলের। তবে মানসীর থেকে একটা গান শুনেই ক্ষান্ত থাকেননি বিচারকরা। তাঁর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিশাল তাঁকে লতাজি, আশাজি কিংবা ওল্ড স্কুলের কোনও গান, যাতে নাচ বা গান নেই তেমন কিছু গাইতে বলেন।
মিউজিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বার্তা বলে মানসী বেশ সাবলীল ভাবেই বলেন, গানটি গাইবার জন্য সে একদমই প্রস্তুত নয়, তবে গেয়ে শোনাচ্ছেন এবং ভালো লাগানোর চেষ্টা করছেন। এরপরই সলিল চৌধুরীর কালজয়ী গান ‘না যেও না, রজনী এখনও বাকি’ গেয়ে শোনান মানসী। গানের হিন্দি ভার্সন, ও সজনার কিছু অংশও এই গানের সঙ্গে মিলিয়ে দেন মানসী।
পছন্দের প্রতিযোগী খুঁজে নিলেন বাদশা, হতবাক শ্রেয়া
আর তাঁর কন্ঠে এই গান শুনেই রীতিমতো ইমোশন্যাল বাদশা। চোখ ছলছল করে ব়্যাপার বয়ের। তিনি মানসীকে বলেই বসলেন যে, মানসী তাঁর ফেভারিট প্রতিযোগী। তাঁর মধ্যে সাহস আছে। এমনকি তিনি যে ঠিক কি অনুভব করছেন এবং কি বলতে চাইছেন তা নাকি মানসী বুঝতে পারবে না। এবং সেই মুহূর্তে তিনি ঠিক বলে বোঝাতেও পারবেন না। তবে বাদশা বলেন তাঁর যে শিল্পীসত্ত্বা আছে সেটা তাঁদের রক্ষা করতে হবে। আর তিনি বা তাঁরা সেটা করবেন।
বাদশার এমন আবেগঘন অবস্থা দেখে একরকম অবাক হন শ্রেয়া । কিছুটা থমকে যান তিনি। তিনি বলেন, তিনি কখনও বাদশাকে এমনভাবে দেখেননি। বাদশার চোখে জল এটা একরকম অসম্ভব ব্যাপার। মানসী সত্যিই ক্রেজি গার্ল, তাঁর মধ্যে কিছু তো একটা ব্যাপার আছে। খুব ভুল কিছু বলেননি শ্রেয়া। বাদশাকে ভাবাবেগ সম্পন্ন হতে খুব কমই দেখা গেছে। এতে মানসীর করা ম্যাজিক সম্পূর্ণ দায়ী।
আরও পড়ুন
কার গানে জল আসলো শ্রেয়া -র চোখে?
অন্যদিকে, বাংলার আরেক প্রতিভা অধিকারী, কলকাতার ছেলে প্রিয়াংশু দত্তর গান শুনে আবেগে বসেন শ্রেয়া। ক্যামেরায় ধরা পরে তাঁর চোখ দিয়ে রীতিমতো জল গড়িয়ে পড়ছে। অরিজিৎ সিং এর গাওয়া বেদরদেয়া গেয়েই শ্রেয়ার মনে দাগ কাটলেন প্রিয়াংশু।
বাংলা রিয়ালিটি শো-এর জগতে পরিচিত নাম মানসী। তাঁর কণ্ঠের জাদুতে স্টার জলসার সুপারস্টার সিঙ্গারের ফার্স্ট রানার আপও হয়েছেন তিনি। ওদিকে কলকাতায় লাইভ পারফরম্যান্সের জন্য বেশ নামডাক রয়েছে প্রিয়াংশুর। কলকাতার দুই শিল্পীর গান শুনে চোখ ছলছল বাদশা ও শ্রেয়ার। শুরুতেই সিজনের ‘ফেভারিট’ প্রতিযোগী বেছে নিলেন বাদশা। শ্রেয়ার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল প্রিয়াংশুর গান শুনে।