আরজি কর কাণ্ডের একমাস অতিক্রান্ত। তবুও অধরা সুবিচার। সোমবার ছিল সুপ্রিম কোর্টে এই ঘটনার দ্বিতীয় পর্যায়ের শুনানি। সেখানে সমস্ত আলোচনা এবং নানা প্রশ্নের শেষে স্থির হয় আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন। তবে এই দিন আশানুরূপ বিচার না আসায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনায় তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে নেমেছিলেন সেলিব্রিটিরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ অব্য়াহত রাখার কথা চিন্তা করছেন টলিপাড়ার সেলিব্রিটিরা?
কী বলছে টলিপাড়া
এ প্রসঙ্গে, সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র-র মতে, এত বড় যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গিয়েছে, তার বিচার আসতে হয়তো সময় লাগবে। এমন অবস্থায় একটু ধৈর্যও ধরতে হবে।
পাশাপাশি প্রতিবাদে সামিল হওয়ার কারণে নিজেদের পেশায় যে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তা একবাক্যে স্বীকার করছেন গায়িকা। সম্প্রতি, এই ঘটনার জন্য নিজের একটি গানের অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র।
এদিন শুনানি চলাকালীন জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এবিষয়ে গায়িকার মত, কাজ এবং আন্দোলন চলতে থাকুক সমানভাবে। রোগীদের স্বার্থে জুনিয়র ডাক্তারদের পালা করে আন্দোলনে বসার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় উদযাপন নয় আন্দোলনকেই বেছে নিয়েছেন। তাঁর মতে, সবার আগে তিলোত্তমার সুবিচার তারপর উদযাপন। এই পরিস্থিতিতে কেউ উৎসবের আনন্দে নেই বলে দাবি পরিচালকের। সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
এবছরের পুজো গৌরব চক্রবর্তী এবং ঋদ্ধিমা ঘোষের একমাত্র সন্তান ধীরকে নিয়ে আনন্দ উৎসব জমজমাট হওয়ার কথা ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে সেই ভাবনা। অভিনেত্রীর মতে, একদিকে নারী শক্তিকে আহ্বান করা হচ্ছে অন্যদিকে আবার সেই নারীকেই অপমানিত করা হচ্ছে। তবে উদযাপনের বিপক্ষে হলেও পুজো হওয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কারণ পুজোকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষেরই রুজিরোজগার জড়িয়ে থাকে। তাই সেটা বন্ধ করা কোনওভাবেই কাম্য নয়। তিনি সবার মতোই আন্দোলনের ওপর বিশ্বাসী। সময় লাগলেও সুবিচার আসবে বলে আশাবাদী অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ।
প্রতি বছরই ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয় সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তিলোত্তমার জন্য তাঁরও মন কাঁদছে। তাই পারিবারিক রীতির কারণে পুজো বন্ধ করতে না পারলেও মণ্ডপ ছোট করে দিয়েছেন তিনি। আমন্ত্রিতদের জন্য পাত পেড়ে খাওয়ানোর রীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। দিনের শেষে মাতৃশক্তির কাছে সকলের একটাই প্রার্থনা সুবিচার আসুক।