আরজি কর ঘটনায় গর্জে উঠেছিলেন সাধারণ মানুষ থেকে সকল শিল্পীরা। প্রতিবাদে মিছিলেও পা মিলিয়েছেন সকলে। সাধারণ মানুষ পরিচিত হয়েছিল “থ্রেট কালচার” শব্দটির সঙ্গে। আরজি কর পরিস্থিতির মাঝেই টলিউডের অন্য়তম পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন এক অভিনেত্রী। এই খবর সামনে আসতেই নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া এরকম ঘটনা নিয়ে সরব হন একাধিক অভিনেত্রীরা।
এবার সেই থ্রেট কালচারের শিকার হলেন টলিউড শিল্পী তনুশ্রী দাস। দীর্ঘদিন কাজ না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
টলিউডে থ্রেট কালরুন, কি বললেন সুদীপ্তা
জানা গিয়েছে, তনুশ্রী পেশায় একজন হেয়ার ড্রেসার। কোনও কারণ বশত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল গিল্ডের পক্ষ থেকে। এই সাসপেন্সনের জন্য টলিউডে আর কোনও কাজ করতে পারেননি তনুশ্রী। টলিউডের পাশাপাশি অন্য কোথাও কাজ করতে গেলেও তাঁকে বাঁধা দেওয়া হত। দীর্ঘদিনযাবত কাজ না পেয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কোনক্রমে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই খবর। এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন টলিউডের কলাকুশলীরা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে তাঁকে দেখতে ছুঁটে যান পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং পরিচালক-অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেশসজ্জা শিল্পী তনুশ্রী দাস (তনু)। আমার হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রি তে যাঁর আসা, এই মুহূর্তে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে শুয়ে রয়েছে। সুইসাইড নোট লিখে রেখে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কোনওরকমে ঠেকানো গিয়েছে। ওকে বাঁচানো গিয়েছে। চিকিৎসা চলছে। সন্ধ্যেবেলা মেসেজ করে আমার সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম। সময়মত উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা কোন পর্যায়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো তনু, কথা দিলাম”।
আরও পড়ুন
এই পোস্ট দেখার পরই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পীরা। কেউ আবার হতবাক এই খবর শুনে।