বিখ্যাত চলচিত্র পরিচালক বনি কাপুরের উপস্থিতিতে ৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে এলো সংস্কার ভারতীর সিনেটকিজ ২০২৪-এর পোস্টার। শুরু করা হয়েছে সিনেটকিজের ওয়েবসাইট।এই অনুষ্ঠানে বনি কাপুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় চিত্র সাধনার ট্রাস্টি, প্রমোদ বাপট।অতিথিদের স্বাগত জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।এই দায়িত্বে ছিলেন সংস্কার ভারতীর কোঙ্কন প্রান্তের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরুণ শেখর( Arun Shekhar)এবং বিখ্যাত প্রযোজক এবং ভোজপুরি ও হিন্দি সিনেমার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আনন্দ কে সিং(Anand K Singh)।
সিনেটকিজের থিমটি ছিল ‘উডস টু রুটস’।এই থিমটি নির্বাচন করার জন্য সংস্কার ভারতীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রমোদ বাপট। এই থিমের মূল বিষয়বস্তু হল, ভারতীয় শিকড়ের মধ্যে নিজের অস্থিত্ব খোঁজার জন্য বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একত্রিত হওয়া। যুব সমাজ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে চলচ্চিত্র এবং গল্প বলার ক্ষেত্রে ভারতীয় বিষয়বস্তুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।এখানে ভারতীয় চিত্রের সাম্প্রতিক প্রয়াসগুলির কথা তুলে ধরেন তিনি।
প্রমোদ বাপট বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় গল্প এবং গল্প বলা প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন গল্প বলা হচ্ছে একটি শিল্প যা আমরা ভারতীয়রাই গোটা বিশ্বকে শিখিয়েছি। তিনি বলেন এটা হল ভারতীয় পরিচালকদের শিকড়ে ফিরে আসার এবং নতুন গল্প সৃষ্টি করার সময়। সারা বিশ্বের কাছে ভারতের ভাবমূর্তিকে একটি শক্তি হিসেবে তুলে ধরা যাবে এর মাধ্যমে। এটি হল ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাছে অনেক বড় সুযোগ। সিনেটকিজের এই ধরনের চেষ্টার মাধ্যমে সিনেমা জগত এবং সমাজের মধ্যে সুস্থ মত বিনিময় হবে বলে আশা করেন প্রমোদ বাপট।
প্রমোদ বাপটের পর বক্তৃতা দেন বনি কাপুর। ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপী এই আলোচনা এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন করার জন্য সংস্কার ভারতীকে অভিনন্দন জানান তিনি।বনি কাপুর বলেন, ৫০ বছর ইন্ডাস্ট্রি জীবনে তিনি সবসময় ভারতীয় লোকাচারকে মেনে চলার চেষ্টা করেছেন। তিনি তাঁর সিনেমায় সবসময় এক শক্তিশালী মহিলা চরিত্র দেখাতে চান। তিনি বলেন, ভারতীয় সিনেমা এবং ভারতীয় কাহিনি একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গল্পগুলিকে আরও ভালভাবে বলা যায়।বনি কাপুর(Boney Kapoor)এর মতে সংস্কার ভারতীর এই প্রচেষ্টা ভারতীয় সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণকে সিনেমা জগতে তুলে ধরে। তিনি বলেন, “আজ ভারতীয় সিনেমা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে। তেলেগু ফিল্ম আরআরআর অস্কার জেতায় সেটা প্রমাণিত। নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রবীণদের কাছ থেকে শিখতে হবে বলে জানান তিনি। ভারতীয় সংস্কৃতিতে নিহিত গল্পগুলি খুঁজে বের করতে হবে। দর্শকরা সেটাই দেখতে পছন্দ করেন”। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সরকারের প্রশংসা করেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মারাঠি অভিনেতা ও পরিচালক সুনীল বারভেকে।এখানেই তাঁকে ‘সিনেটকিজ ২০২৪’-এর সংযোজক হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সংস্কার ভারতীর কোঙ্কন দেশের সংগঠন মন্ত্রী উদয় শেউড়ে সকলকে ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।