ভরত কল এবং জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়ের জীবনে কন্যা আরিয়ার আগমন তাদের সম্পর্ক এবং জীবনের মানে অনেকটাই বদলে দিয়েছে। জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়ের মতে, মা হওয়া তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অনুভূতি। কিন্তু এই অনুভূতি অর্জনের যাত্রা সহজ ছিল না। আরিয়ার জন্মের আগে জয়শ্রী প্রায় ৮৭ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল, এবং শারীরিক সমস্যার কারণে ঘুমানোর সময় অনেক কষ্ট হতো। তবুও তিনি মনের ভেতর এক অসীম প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।
মেয়ে বড় করার চ্যালেঞ্জ, তারকা দম্পতির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল??
জয়শ্রী মনে-প্রাণে চেয়েছিলেন তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আসুক। তবে জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী এবং সামাজিক প্রত্যাশা তাদের ধারণা দিয়েছিল যে ছেলেই হবে। আরিয়ার জন্মের মুহূর্তে জয়শ্রী যখন তার প্রথম কান্না শুনলেন এবং জানলেন একটি মেয়ে হয়েছে, সেই আনন্দের মুহূর্তটি তিনি আজও ভুলতে পারেননি। তবে শুরুতে ‘নিজের সন্তান’ বিষয়টি মনের মধ্যে গভীরভাবে গেঁথে যেতে একটু সময় লেগেছিল।
আরিয়ার জন্মের কয়েকদিন পরেই তার জন্ডিস ধরা পড়ে। ডাক্তাররা জয়শ্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে বললেও তিনি তা কিছুতেই মানতে পারেননি। এই সময়েই তিনি প্রথমবার তার সন্তানের প্রতি সেই গভীর টান অনুভব করেন। মা হিসেবে এই আবেগ জয়শ্রীকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
আরিয়ার জন্মের মাত্র ছ’মাসের মধ্যেই জয়শ্রী আবার কাজে যোগ দেন। যদিও কাজের ব্যস্ততা ছিল, তবু নিজের হাতে মেয়েকে বড় করার দায়িত্ব তিনি কোনোভাবেই এড়াননি। ভরত কল, যিনি রাত জেগে কাজ করতে অভ্যস্ত, তিনি রাতে মেয়েকে দেখতেন। জয়শ্রী দিনে মেয়ের যত্ন নিতেন—ডায়াপার বদলানো থেকে শুরু করে দু’ঘণ্টা অন্তর খাওয়ানো পর্যন্ত। এই সমন্বয়েই তাদের পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় ছিল।
বর্তমানে আরিয়া স্কুলে পড়াশোনা করছে। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে রিলস ভিডিওতে অংশ নিলেও এখন সে তাতে লজ্জা পায়। জয়শ্রী জানান, আরিয়া তার বাবার সঙ্গে বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে, কারণ ভরত তাকে কখনও বকাঝকা করেন না। তবে মায়ের নির্দেশ মানতে এবং নির্ভর করতে সে সবসময় প্রস্তুত।
অভিনয় নাকি খেলা? আরিয়ার পছন্দ কী?
ভবিষ্যতে আরিয়া অভিনয় জগতে আসতে চায়, তবে ভরত চান তার মেয়ে ক্রিকেট খেলায় মনোযোগ দিক। জয়শ্রী মনে করেন, আরিয়া যা করতে ভালোবাসে, সেটাই করা উচিত। তার চাওয়া, আরিয়া যেন ভালো মানুষ হয়, জীবনকে সৎ পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ক্লাসে প্রথম হওয়া না হোক, কিন্তু নিজের এবং অন্যের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে উঠুক, এটাই তার আসল চাওয়া।
এই গল্প শুধু একটি সন্তানকে ঘিরে পরিবারের আনন্দ নয়, বরং মা-বাবা হওয়ার প্রতিটি আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষ্য।
বিয়ের এক মাসেই মিলল সুখবর! দুই থেকে তিন হচ্ছেন রূপসা সায়নদিপ! - Xplorent Media
November 17, 2024[…] ভরত-জয়শ্রীর জীবনের নতুন অধ্যায়!! রাত… […]