স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁর লেখা একটি খোলা চিঠি সম্প্রতি বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাধারণত অভিনেত্রীরা তাঁদের বয়স লুকিয়ে রাখেন, এমনটিই মনে করেন অনেকে। কিন্তু টলিউডের ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী স্বস্তিকা এই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন। ৪৪ বছরে পা দিয়ে তিনি খোলামেলা জানালেন নিজের বয়স। শুধু তাই নয়, নিজের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি আবেগঘন খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
জীবনের গল্প চোখের কালি নয়, সাফল্যের ছাপ, বললেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়…
চিঠিতে স্বস্তিকা খুব সহজ ও সুন্দরভাবে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, একসময় বয়স ও ধূসর চুল দেখে তিনি ভয় পেতেন। কিন্তু আজ তিনি মনে করেন, এই ধূসর চুল এবং ক্লান্ত চোখ জীবনের অভিজ্ঞতার প্রতীক। চোখের নীচে কালি নয়, বরং সেখানে তিনি সাফল্যের গল্প দেখতে পান। জীবনের চলার পথে পাওয়া এই অভিজ্ঞতাকে তিনি গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।
৪৪-এর জন্মদিনে নিজের প্রতি ভালোবাসার কি বার্তা স্বস্তিকার???
জন্মদিনে স্বস্তিকা নিজেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, “তোমার সঙ্গে আমি সবসময় আছি। তুমি না থাকলেও, আমি থাকব।” এই কথাগুলো শুধু আত্মবিশ্বাসের প্রতীক নয়, এটি আত্মপ্রেম এবং জীবনের প্রতি তাঁর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিচায়ক। তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মিষ্টি ও আনন্দময় করে তোলার বার্তা দিয়েছেন।স্বস্তিকার এই চিঠি আজকের সমাজে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত অভিনেত্রীদের বয়স নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয়। তাঁদের গ্ল্যামার, মেকআপ, এবং বয়স লুকানোর প্রসঙ্গ প্রায়ই উঠে আসে। কিন্তু স্বস্তিকা সরাসরি নিজের বয়স এবং প্রকৃত রূপের কথা প্রকাশ করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি দেখিয়েছেন, আত্মবিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা কেমন করে একজন মানুষকে আরো শক্তিশালী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। চিঠিতে স্বস্তিকা নিজের প্রতি ভালোবাসার পাশাপাশি একটি বার্তা দিয়েছেন সবার জন্য—নিজেকে গ্রহণ করা এবং নিজের জীবনকে ভালোবাসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “তুমি তোমার মিষ্টতা নিয়ে এগিয়ে যাও।” এই কথাগুলো সব বয়সের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে, বিশেষ করে নারীদের। স্বস্তিকার এই চিঠি কেবল ব্যক্তিগত নয়, এটি একটি সামাজিক বার্তাও বহন করে। এতে আত্মপ্রেম, আত্মবিশ্বাস, এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব স্পষ্ট। তাঁর এই বার্তা অন্য নারীদেরও নিজেদের জীবন নিয়ে গর্বিত হতে এবং বয়স কিংবা চেহারা নিয়ে অহেতুক চিন্তা না করে নিজেদের মতো করে বাঁচতে অনুপ্রাণিত করবে।এই ধরনের সাহসী এবং ইতিবাচক চিন্তা আমাদের সমাজে খুব প্রয়োজন।
স্বস্তিকার জন্মদিনে লেখা এই চিঠি কেবল তাঁর ভক্তদের নয়, সমস্ত মানুষের মন ছুঁয়ে গেছে। এটি একটি উদাহরণ যে, বয়স বা চেহারা নয়, বরং একজন মানুষের অভিজ্ঞতা, আত্মবিশ্বাস, এবং জীবনদর্শনই তাঁকে সত্যিকার অর্থে সুন্দর করে তোলে।