শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক ভিডিও পোস্টটি, যেখানে তিনি তাঁর ছেলে ইউভানকে দীপাবলির সময় বাজি না ফাটানোর উপদেশ দিচ্ছেন, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সমালোচনা ও ট্রোলের মুখোমুখি হতে হয়েছে। এই ভিডিওতে দেখা যায়, শুভশ্রী তার ছেলেকে শেখাচ্ছেন যে বাজি ফাটানো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এবং বিশেষ করে শব্দবাজি প্রাণীদের জন্য ভীতিকর হতে পারে। এই বিষয়ের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য, শুভশ্রী ইউভানকে বলেন, ‘ফটাকা ইজ নট গুড ফর…’, এবং ইউভান উত্তরে বলে, ‘হেলথ’। এরপর শুভশ্রী তাকে আরও জানায় যে, এটি পরিবেশের জন্যও খারাপ। ইউভানকে তিনি ‘নো ফটাকা প্লিজ’ বলার অনুরোধ করেন। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করার পর থেকেই একদল নেটিজেন এর উচ্চারণ নিয়ে সমালোচনা শুরু করে।
কী মন্তব্য করেন অভিনেত্রীকে??
বেশিরভাগ সমালোচক মন্তব্য করেন যে শুভশ্রী ‘ফটাকা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা উচ্চারণে ভুল। বাংলায় এটি ‘পটাকা’ হিসেবে পরিচিত, যা মূলত হিন্দি থেকে এসেছে এবং অর্থে ফায়ারক্র্যাকার বা বাজি বোঝায়। অনেকেই মনে করেছেন যে এই ভুল উচ্চারণের কারণে শুভশ্রী তার ছেলেকে সঠিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘ফটাকা আবার কী? উফ পটাকা উচ্চারণ করতে পারে না’। আবার অন্য কেউ বলেছেন, ‘বিষয়টা সত্যি হাস্যকর, নিজেই জানে না ছেলেকে ভুল শেখাচ্ছে’।
এর আগেও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এমন ট্রোলের শিকার হয়েছেন, বিশেষ করে ইংরেজিতে কথোপকথনের সময় ভুল উচ্চারণের কারণে। এর আগে তার ছেলের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলার সময়ও অনেকেই তার শিক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। শুভশ্রী সবসময়ই তার পরিবারের সঙ্গে কাটানো মূহূর্তগুলো ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন এবং তার ছেলে-মেয়ের জন্য একটি সচেতন মা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এসব ভিডিওতে দেখা যায় যে তিনি কখনও কখনও ট্রোলিংয়ের শিকার হন, বিশেষ করে যেসব মানুষ তার শেখানোর পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা করে।
শুভশ্রী তার ভিডিওটির মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে চেয়েছিলেন
বাজি ফাটানো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক এবং এর উচ্চ শব্দ প্রাণীদের ভয় পাইয়ে তোলে। যদিও এই বার্তাটি অনেকেই সমর্থন করেছেন, তবে উচ্চারণগত ভুলের কারণে সেই বার্তাটি একাংশের কাছে হাস্যকর হয়ে উঠেছে। শুভশ্রী তার ছেলের প্রতি সচেতনতা ও পরিবেশ সুরক্ষার বার্তা দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন, কিন্তু সমালোচকদের একাংশ মনে করছেন, এই প্রচেষ্টা সঠিকভাবে পৌঁছায়নি।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এই ভিডিওর প্রসঙ্গে কী বলেন??
সামাজিক মিডিয়ার একটি উদাহরণ যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার পরও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মানুষ ট্রোল করেন। যদিও অনেকেই তার বার্তার সঙ্গে একমত, কিন্তু সেই বার্তাটির উপস্থাপনা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। শুভশ্রীকে এমন সমালোচনা আগেও সহ্য করতে হয়েছে এবং তিনি অনেকসময় এগুলিকে উপেক্ষা করে নিজের পথে চলেন। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায়, বিশেষ করে যখন একজন সেলিব্রিটি সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন তার প্রতিটি কথাই বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হয়।