Bollywood Celeb Lifestyle

আলি খান পরিবারের পতৌদি প‍্যালেসের গোপন তথ‍্য ফাঁস করলেন সোহা|bollywood

গুরগাঁও জেলায় অবস্থিত পতৌদি রাজ পরিবারের প্রাসাদ “পতৌদি প‍্যালেস”।বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মৃত্যুর পর তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী হয়েছেন সইফ আলি খান। প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকার মালিক তিনি।বর্তমানে পতৌদি প্যালেসের মালিক সইফ আলি খান প্রাসাদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাঁচাতে চান।সেই খরচ বাঁচাতে তিনি কি করেন জানেন? এই বিষয়ে সমস্ত তথ‍্য ফাঁস করলেন সোহা আলি খান। একইসঙ্গে প্যালেসের কোন দায়িত্ব সামলান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর? তাও জানিয়েছেন তিনি।

পতৌদি প‍্যালেস কেন রং করেননা সইফ আলি খান জানেন?

বলিউড তারকাদের আবাসনগুলি দাম ও বিলাসিতার দিক দিয়ে একে অপরকে টক্বর দেয় অনবরত।তার মধ‍্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সইফ আলি খানের প্রাসাদ পতৌদি প‍্যালেস।একাধিক হিন্দি ছবি, ওয়েব সিরিজ এমনকি হলিউডের ছবির শুটিংও হয়েছে এই প্রাসাদে।সম্প্রতি এই প্রাসাদে ‘অ্যানিম্যাল’ এবং সইফের সিরিজ ‘তান্ডব’-এর শুটিং হয়েছে।কিন্তু এই প্রাসাদ কোনোদিনও রং করাননি পতৌদি বংশের দশম নবাব সইফ আলি খান।সোহা জানান তাঁদের এই প্রাসাদের রং করা খুবই ব‍‍্যয় সাপেক্ষ।সেই কারণেই শুধুমাত্র ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করেন সইফ।

পতৌদি প‍্যালেসের কোন দায়িত্ব সামলান শর্মিলা ঠাকুর?

এক সাক্ষাৎকারে সোহা বলেন তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর সবসময় হিসেবের খাতা নিয়ে বসে থাকেন।প্রতিদিনের ব্যয় থেকে শুরু করে মাসিক ব্যয় সবটাই নিজে হিসেব রাখেন শর্মিলা ঠাকুর। সোহা আরও বলেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কোন বাড়ি বা জায়গা কেনেননি কারণ তাঁরা এই প্রাসাদটিকে যত্ন করে রাখতে চান।তিনি বলেন,”এটা কোনও বস্তু নয়, এই বাড়িটা একটা স্থাপত্য, এটাই এই বাড়িকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে”।

উপাধি বহন করা শুধু আনন্দের নয় অনেক দায়িত্ব থাকে!কেন বললেন সোহা আলি খান?

সোহা জানিয়েছেন ১৯৭০ সালে রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর তাঁর জন্ম হয়। কিন্তু তাঁর দাদা সইফ রাজতন্ত্র শেষ হবার আগে জন্মেছেন।এই কারণে তিনি একজন রাজকুমার হিসেবেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শুধু উপাধি বহন করা আনন্দেরই নয়, এর সঙ্গে অনেক দায়িত্ব আসে। আমার ঠাকুমা ভোপালের বেগম ছিলেন, আমার ঠকুরদা ছিলেন পতৌদির নবাব, ঠাকুরদা আমার ঠাকুমাকে অনেক বছর ধরে ভালোবেসেছেন কিন্তু তাঁদের বিয়ে করতে দেওয়া হয়নি শুরুতে”।

আরও পড়ুন

তিনি জানান যে প্রাসাদটি তৈরি করতে গিয়ে তাঁর ঠাকুরদা ইফতিখার আলি খান এর সমস্ত টাকা ফুরিয়ে গিয়েছিল। এই কারণেই তাঁদের বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় মার্বেলের চেয়ে বেশি কার্পেট রয়েছে আজও।তাঁদের এই প্রাসাদটি ইব্রাহিম কোঠি নামেও পরিচিত।হরিয়ানার পতৌদিতে অবস্থিত ১০ একর জমির উপর তৈরী এই প্রসাদ।মোট ১৫০টি ঘর রয়েছে এই প্রাসাদে। যার মধ্যে রয়েছে ড্রেসিং রুম, বেডরুম, বিলিয়ার্ড রুম এবং ডাইনিং রুম।এখনও তাঁরা এখানে আসেন ছুটি কাটাতে।

আইন অনুসারে ১৯৬৮ সালে ভারত সরকারের ‘এনিমি ডিসপিউট অ্যাক্ট’-এর অধীনে চলে গিয়েছে পতৌদিদের সম্পত্তি। সেই আইন অনুসারে এই সম্পত্তির উপর কেউ অধিকার দাবি করতে পারবে না কিংবা উত্তরাধিকারীও হতে পারে না। পতৌদি প‍্যালেসের ভিতরে থাকা সমস্ত বিলাসবহুল জিনিসও এই আইনের আওতায়। আর সেই কারণেই সইফ আলি খানের দুই বোন কিংবা চার সন্তান কেউই এই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারবেন না।

Avatar

Riya Pal

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Welcome to Xplorent Media, where every click brings the colourful worlds of Bollywood and Tollywood  to life. 

Our Company

Get Latest Updates and big deals

    Come along and discover the wonders of television, films, and celebrity culture like never before!

    Xplorent Media @2024. All Rights Reserved.