‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’ নীরজ পান্ডের পরিচালনায় একটি অ্যাড্রেনালিন-পাম্পিং থ্রিলার, যা অপরাধ, রহস্য এবং আবেগের ত্রিভুজের মধ্যে আবর্তিত হয়। এই ছবি একজন অপরাজেয় পুলিশ অফিসারের যাত্রার গল্প বলে, যিনি একটি বিপুল পরিমাণ হীরা চুরির রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য নিজের জীবনকে বাজি রাখেন। মূল ভূমিকায় আছেন জিমি শেরগিল, যিনি সিকান্দার নামে একজন নাছোড়বান্দা পুলিশ অফিসার হিসেবে অভিনয় করছেন। তার ব্যক্তিত্বে রয়েছে দৃঢ়তা, সংকল্প, এবং অনন্যা কৌশল, যা তাকে এই চুরি রহস্যের গভীরে প্রবেশ করতে সহায়তা করে।
নতুন থ্রিলার ‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’ এর রহস্যময় কাহিনি….
ছবির গল্পে রয়েছে কোটি টাকার একটি হীরা চুরি, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের সন্দেহের মুখে ঠেলে দেয়। এই চুরির প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে রয়েছেন তিনজন—তামান্না ভাটিয়া, অবিনাশ তিওয়ারি এবং রাজীব মেহতা। তাদের চরিত্রগুলো বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও মনস্তাত্ত্বিক সংঘাতের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠেছে, যেখানে প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব গোপন রহস্য। অবিনাশের চরিত্রটি কিছুটা ধূসর ছায়ার আভাস দেয়, যিনি এই চুরির পেছনে কোনও গোপন উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখতে পারেন। অন্যদিকে, তামান্নার চরিত্র কামিনী একটি আত্মবিশ্বাসী এবং চ্যালেঞ্জিং নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি নিজের শক্তি এবং দুর্বলতার দ্বন্দ্বে বন্দী।
জিমি শেরগিল তার ট্রেলার নিয়ে বলেন, এটি দর্শকদের কৌতূহল জাগাতে এবং রহস্যে ভরা একটি পৃথিবীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্মিত। প্রতিটি ধাঁধার অংশ সংযুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উদঘাটনের আহ্বান জানায় ট্রেলারটি। জিমি শেরগিলের মতে, চরিত্রটি একটি সাধারণ পুলিশ অফিসারের চেয়ে অনেক বেশি কিছু, কারণ সিকান্দারের মধ্যে এমন কিছু মানবিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাকে আরও বেশি নিবেদিত এবং অটল করে তোলে।
তামান্না ভাটিয়া ও অবিনাশ তিওয়ারির জটিল চরিত্রের ভূমিকা…
তামান্না ভাটিয়া তার চরিত্র কামিনী নিয়ে বলেন, এটি তার অভিনয় জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা, যা তাকে তার কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে এক নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তিনি এই চরিত্রে নিজের দুর্বলতা এবং দৃঢ়তাকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন। নীরজ পান্ডে এবং নেটফ্লিক্সের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি তার অভিনয় দক্ষতার নতুন দিকগুলি উন্মোচনে সহায়ক হয়েছে।
নীরজ পান্ডের পরিচালনায় রহস্য ও ষড়যন্ত্রের মিশ্রণ….
অবিনাশ তিওয়ারি বলেন, ‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’ কেবল একটি অপরাধমূলক নাটক নয়, এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার যা দর্শকদের প্রতিটি দৃশ্যে নতুন আঙ্গিকে চিন্তা করতে বাধ্য করবে। তার মতে, এটি একটি অ্যাকশন থ্রিলার হলেও এখানে গভীর আবেগ এবং সামাজিক সংঘাতের উপাদান রয়েছে, যা এই সিনেমাকে আরও বেশি আবেদনময় করে তুলেছে।
‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’একটি চিত্তাকর্ষক গল্প বলার মাধ্যমে শুধু হীরার চুরি এবং পুলিশের তদন্তের গল্প নয়, বরং এটি প্রতিটি চরিত্রের গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণও প্রদান করে। প্রতিটি চরিত্রের গোপন সত্য ও উদ্দেশ্য উদ্ঘাটিত হয়, যা সিকান্দারকে তাদের জীবনের আরও গভীরে প্রবেশ করতে বাধ্য করে। গল্পটি সমাপ্তির দিকে যাত্রা করতে করতে আরও জটিল আকার ধারণ করে, যেখানে সিকান্দারের প্রবৃত্তি তাকে একটি ভিন্ন পথে নিয়ে যায়।
২৯শে নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘সিকান্দার কা মুকাদ্দার’ সম্ভবত নীরজ পান্ডের একটি অনন্য নির্মাণ হিসেবে পরিচিতি পাবে, যা ভারতীয় ক্রাইম থ্রিলার ঘরানায় একটি নতুন অধ্যায় তৈরি করতে সক্ষম হবে।