গত একবছর ধরে চর্চার তুঙ্গে আছেন কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী শ্রীময়ি চট্টরাজ। কখনও প্রেম, কখনও বিয়ে, কখনও প্রেগন্যান্সি আবার কখনও সন্তানের জন্ম কাঞ্চন দম্পতি এখন চর্চায় শীর্ষে। তবে সম্প্রতি তাঁদের নিয়ে শুরু হলো নয়া গুঞ্জন। চলতি বছরেই বিয়ে ও সন্তানজন্ম দুইই সম্পন্ন হয়েছে এই দম্পতির। খুদে কন্যার নাম কৃষভি। সন্তানের আগমনে খুশির হাওয়া বইছে নয়া বাবা মায়ের মনে। তবে এবারে উঠলো নতুন বিতর্ক। কৃষভির জন্মের সময় নাকি তাঁর বাবা মায়ের লাখ ছয় টাকা খরচা হয়েছে? আর এ খবর জানতেই তুমুল চর্চা নেটপাড়া জুড়ে।
বিয়ের কয়েক মাসেই কোল জুড়ে এসেছে নতুন অতিথি। মেয়েকে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরেছেন দম্পতি। কিন্তু কোনো অঘটন অথবা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের বিল হয়েছে নাকি ছ’লক্ষ টাকা! আবার বিধানসভায় সেই বিল নাকি জমা দিয়েছেন অভিনেতা। সূত্র মারফত এসব খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে দর্শকমহলে। অভিনেতার বিরুদ্ধে প্রশ্নবাণের ছড়াছড়ি। তবে কাঞ্চনের জীবনের যখনই ঝড় উঠেছে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে স্ত্রী শ্রীময়িকে। এ বারও অন্যথা হলো না। স্বামীর পক্ষ নিয়ে সমাজমাধ্যমে কলম ধরলেন অভিনেত্রী। নিন্দুকের উদ্দ্যেশ্যে কী লিখলেন অভিনেত্রী শ্রীময়ি চট্টরাজ?
সমালোচকের উদ্দ্যেশ্যে সমাজমাধ্যমে কি লিখলেন শ্রীময়ি?
সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করে অভিনেত্রী বলেছেন, তাঁর স্বামী বিধানসভায় বিল জমা দিয়েছে কি দেয়নি সেই বিষয়ে তিনি উত্তর দেওয়ার কেউ নন। তার কারণ তিনি বিধানসভার সদস্য নই। অভিনেত্রী এও বলেন, তাঁর জানামতে, যে কোনও সরকারি কর্মচারীরা এটা রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীই হোক না কেন, তাঁরা তাঁদের মেডিকেল পরিষেবাটা পায় এটাই সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় সুবিধা।
ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ওপরে তাঁদের পারিশ্রমিক নির্ভর করে বলে মনে করেন অভিনেত্রী। একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পারিশ্রমিক নয়া ডাক্তারের চেয়ে স্বভাবতই বেশি। আর এটি শুধু ডাক্তার নয়, সমস্ত পেশার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তাই ডাক্তারবাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাটা বিচার করে তারপর প্রশ্ন তোলার অনুরোধ করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, এখানে তিনি বা কাঞ্চন কোনও ফ্যাক্টর নন।
এছাড়াও অভিনেত্রী বলেন, সঙ্গে কে কোন ডাক্তার বেছে নেবে, কে কোন রেস্তরাঁয় খাবে, কে কোন জামাকাপড় পরবে, কোথা থেকে কিনবে, কার কোন নার্সিংহোমে সরকারি না বেসরকারি হাসপাতালে ডেলিভারি হবে, এটা একান্ত তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এই নিয়ে দর্শকদের অনধিকার চর্চা না করতে তিনি অনুরোধ করেন। সঙ্গে এও বলেন যে তাঁরা কোনও অপরাধ করেননি।
অযথা পরচর্চা করে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করার পরামর্শ শ্রীময়ির —
সকল দর্শক ভক্তদের উদ্দেশ্যে, শ্রীময়ীর অনুরোধ ব্যক্তিগত বিষয়ে যেন তাঁরা নাকটি না গলায়। তিনি বলেন, এগুলো ছাড়াও সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে চর্চা করার, আলোচনা করার,সমালোচনা করার। সকলে যেন সেসব বিষয়ে নজরদারি করেন। এসব করে তাঁদের নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করার পরামর্শও দিলেন অভিনেত্রী। নিজেদের অযথা গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতেও বারণ করলেন তিনি। এই পৃথিবীর অনেকেই মা হয়েছেন, তাঁদের নিজেদের মতো করে, নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী এবং একান্ত ব্যক্তিগতভাবে, নিজেদের পছন্দমতো ডাক্তার বা নার্সিংহোমে। তাই অভিনেত্রী নিজেও যে কোনও বিরল মা নন সেই কথাটিই আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন দর্শককে। সবশেষে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রীময়ি তাঁর কথা শেষ করেন।