শিল্পা শেঠির সুস্বাস্থ্য ও আকর্ষণীয় চেহারার মূল চাবিকাঠি হল তাঁর সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং কঠোর শরীরচর্চার রুটিন। প্রায় ৫০ বছর বয়সে পৌঁছে গেলেও, শিল্পা এখনও যেন তারুণ্যে ভরপুর। দুই সন্তানের মা হয়েও তাঁর মেদহীন চেহারা এবং লাবণ্য অনেকের জন্যই অনুপ্রেরণা।
কীভাবে সঠিক ডায়েট বজায় রাখেন শিল্পা?
শিল্পা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁর স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বারবার বলেছেন। তিনি প্রতিদিন যোগাসন, কার্ডিয়ো ও ওয়েট ট্রেনিং করেন। তবে স্বাস্থ্যকর ডায়েটের ওপরও বিশেষ জোর দেন তিনি। তাঁর মতে, ডায়েট করা মানে না খেয়ে থাকা নয়। বরং এটি একটি পরিকল্পিত খাবারের রুটিন, যা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার প্রদান করে। তিনি নিজেকে ভোজনরসিক বলেই মনে করেন। তবে এই ভালোবাসা তাকে স্বাভাবিক ডায়েট থেকে দূরে সরিয়ে দেয় না।
শিল্পার ডায়েট প্ল্যান:
প্রতিদিন সকাল শুরু হয় ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস পান করার মাধ্যমে। এরপর থাকে তাঁর প্রাতরাশ। সাধারণত, কাঠবাদাম দুধ, কলা, মধু এবং ওট্স দিয়ে তৈরি বিশেষ স্মুদি খান তিনি। এই স্মুদি শুধু সুস্বাদু নয়, পুষ্টিকরও বটে, যা সারা দিনের শক্তি যোগায়। আবার কখনো কড়া করে সেঁকা ব্রাউন ব্রেডে সাদা মাখন মাখানো টোস্টও থাকে তাঁর প্রাতরাশে।
লাঞ্চ:
দুপুরে সাদামাটা ভাত, ডাল এবং সবজি খেতে পছন্দ করেন শিল্পা। অনেক সময়ে সবজি দিয়ে খিচুড়ি খেয়ে থাকেন। তাঁর মায়ের হাতে রাঁধা রাজমা-চাউল আর পনিরও মাঝে মাঝে তাঁর মেন্যুতে থাকে।
সন্ধ্যা ও রাতের খাবার:
শিল্পা সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে এক বাটি স্যুপ খেয়ে নেন। রাতে ৮টার পর আর কিছুই মুখে তোলেন না, এমনকি ফল বা দুধও নয়। শিল্পার মতে, পাকস্থলীর বিশ্রাম প্রয়োজন, যা সারা দিনের খাবার সহজে হজমে সাহায্য করে। এই নিয়ম মেনেই তিনি তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
সপ্তাহে এক দিনের “চিট ডে”, শিল্পার প্রিয় ফুচকা ও মিষ্টি….
স্বাস্থ্যকর খাবার ছাড়াও শিল্পা মুচমুচে ফুচকা, পুদিনা চাটনি, রসগোল্লার মতো খাবারও উপভোগ করেন, তবে পরিমিত পরিমাণে। তিনি বলেন, যারা ওজন কমাতে চান, তারা সপ্তাহে এক দিন এই পছন্দের খাবার উপভোগ করতে পারেন, তবে অবশ্যই তা সংযমের মধ্যে খেতে হবে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে কি পরামর্শ দেন শিল্পা??
শিল্পার মতে, ওজন কমাতে রাত ৮টার পর আর কোনো খাবার খাওয়া উচিত নয়। এভাবে পাকস্থলীকে বিশ্রাম দিলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এছাড়াও, তিনি মনে করেন খাবার সঠিক সময়ে খাওয়া ও ব্যায়াম নিয়মিতভাবে করা জরুরি। ব্যস্ত সময়সূচির মাঝেও শিল্পা কখনো তাঁর শরীরচর্চার রুটিন বা সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া বাদ দেন না।
এই জীবনযাপন ও সচেতনতার মাধ্যমে শিল্পা শুধু তারুণ্য ধরে রাখেননি, বরং অনুপ্রেরণার রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। তাঁর ডায়েট এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা অনেককে তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হতে সাহায্য করে।