Bollywood Culture & Society

মায়ের কাছে তাঁর আর্জি ‘তুমি বান্দ্রায় ফিরে এসো’! বাবা-মা’য়ের বিয়ে ভাঙার জেরে সোহেল-সীমার ছোট ছেলের মনে কী প্রভাব পড়ল?

সোহেল খান এবং সীমা সাজদেহের বিচ্ছেদ শুধুমাত্র তাদের জন্য নয়, বরং তাদের দুই সন্তানের জন্যও একটি গভীর ঘটনা। ১৯৯৮ সালে সোহেলের সঙ্গে সীমার বিয়ে হয়েছিল, যা ছিল একটি ভালোবাসার ভিত্তিতে নির্মিত সম্পর্ক। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে তাদের আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স ঘটে। এই দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের সমাপ্তি কেবল দুইজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য নয়, বরং তাদের সন্তানদের জন্যও একটি কঠিন পরিণতি নিয়ে এসেছে।

ইয়োহান, যিনি ১১ বছর বয়সী, এখনও এই বিচ্ছেদকে পুরোপুরি মেনে নিতে পারেনি। নির্বাণ, ইয়োহানের বড় ভাই, বলেন যে ইয়োহান ডিভোর্স শব্দটির সংজ্ঞা জানত না এবং তাই সে গুগলে “ডিভোর্স কী?” সার্চ করেছে। এটি প্রমাণ করে যে ছোট্ট ইয়োহান তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের জটিলতা এবং তাদের বিচ্ছেদের প্রভাব সম্পর্কে কতটা বিভ্রান্ত এবং উদ্বিগ্ন। নির্বাণ তার ভাইয়ের জন্য উদ্বিগ্ন, কারণ এই বিচ্ছেদ ইয়োহানের মনে গভীর আঘাত রেখেছে।

সীমা এবং সোহেলের ডিভোর্সের পর তাদের পরিবারে কি পরিবর্তন এসেছে??

সোহেল এবং সীমার বিচ্ছেদের কারণে, ইয়োহান এবং নির্বাণকে সময়ের বেশিরভাগই বাবার সঙ্গে বান্দ্রায় কাটাতে হচ্ছে। সেখানেই তাদের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা হয়েছে। তবে সীমা এখন বান্দ্রার পরিবর্তে ওয়ারলিতে বাস করছেন, যা ইয়োহানের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন। তার বন্ধু এবং পরিচিতদের থেকে দূরে থাকার কারণে ইয়োহানের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়েছে।

নির্বাণ সঠিকভাবে উল্লেখ করেন যে ইয়োহান তার বন্ধুদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এটি তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বিশ্বাস করেন যে, যদি মা আবার বান্দ্রায় ফিরে আসেন, তাহলে তারা নিজেদের জন্য একটি স্থায়ী পরিবেশ তৈরি করতে পারবে এবং ইয়োহান তার বন্ধুদের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে পারবে। পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাণ তার মাকে অনুরোধ করেছেন।

কার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন সীমা?

এদিকে, সীমা বর্তমানে বিক্রম আহুজার সঙ্গে একটি নতুন সম্পর্কে রয়েছেন। এটি একটি পুরনো প্রেম, যা সোহেলের জীবনে আসার আগে তার সঙ্গে ছিল। সীমার কাছে এটি একটি নতুন শুরু হলেও, ডিভোর্সের পর যে মানসিক চাপ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে, তা সহজ নয়। তিনি নিজের জীবনে এগিয়ে যেতে চাইলেও, সন্তানের মানসিক অবস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে চান।

সীমা এবং সোহেলের বিচ্ছেদের প্রভাব তাদের দুই সন্তানের জীবনকে অস্বাভাবিকভাবে কঠিন করে তুলেছে। বিশেষত ইয়োহান, যে এখনও তার বাবা-মায়ের সম্পর্কের বিচ্ছেদকে মেনে নিতে পারেনি, তার জন্য এই সময়টা অত্যন্ত কঠিন। একটি শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে আসা তাদের পরিবারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, যা সময়ের সাথে সাথে সম্ভব হবে।

Avatar

Diyasha

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Welcome to Xplorent Media, where every click brings the colourful worlds of Bollywood and Tollywood  to life. 

Our Company

Get Latest Updates and big deals

    Come along and discover the wonders of television, films, and celebrity culture like never before!

    Xplorent Media @2024. All Rights Reserved.