Bollywood Celeb Lifestyle

গরম রোলার হোক আর স্ট্রেইটিং, নায়িকাদের সুন্দর চুলের রহস্য কি?

সাধারণ মানুষের বারো মাসে তের পার্বণ হলেও, অভিনেত্রীদের জীবন কিন্তু আলাদা। তাঁদের প্রতিদিনই উৎসব। প্রতিদিনই লাইট,ক্যামেরা,গ্ল্যামার আর সাজগোজ। মুখের মেকআপ হোক আর চুলের স্টাইল। প্রতিদিনই নিজেদের ত্বক ও চুলের পেছনে সময় যায় অভিনেত্রীদের।

উৎসবের মরশুম চলছে এখনো। কদিন আগেই দুর্গাপুজো গেলো, আবার সামনেই আসছে দীপাবলি ও ভাইফোঁটা। তারপর পুরো নভেম্বর ডিসেম্বর জুড়ে ক্রিসমাস নিউ ইয়ারের অনুষ্ঠান পার্টি শুরু হবে। সে উপলক্ষে জমকালো পোশাক, মেকআপের সঙ্গে নিত্য নতুন কেশসজ্জাও করবেন অভিনেত্রীরা। তবে এর ফলে চুলেরও কি দশা হবে তা বলাই বাহুল্য। অবশ্য জমকালো পোশাক, দুর্দান্ত মেকআপ সত্ত্বেও চুলের স্টাইল যদি ঠিকঠাক না হয়, তা হলে সাজটাও কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এককথায় সবটাই মাটি হয়ে যায়।

তবে শুধু চুলের স্টাইল করলেই হবে?

কেশসজ্জার সঙ্গে সঙ্গে যদি সঠিক ভাবে চুলের যত্ন না নেন, তা হলেই চুল উঠতে শুরু করবে গোছা গোছা। চুলের ধরন ও হয়ে যাবে খারাপ, রুক্ষ ও শুষ্ক। বলিউড অভিনেত্রীরা নিত্য নতুন কেশসজ্জা করলেও কিন্তু চুল নরম থাকে তাঁদের। কী কী নিয়ম মেনে চলেন বলিউড তারকারা? চুল ভাল রাখতে বিভিন্ন উপায় বলে থাকেন বর্তমানের হেয়ার স্টাইলিস্টরা। নিয়ম মেনে চললে সাধারণ মানুষের চুলও হবে তারকাদের মতো সুন্দর ও ঝলমলে।

চুলের যত্নে উপায় কি?

কি কি নিয়ম মানলে চুল মজবুত ও সুন্দর হবে, যা তারকারাও মেনে চলেন?কেশসজ্জার বিষয়ে এসব দিক খেয়াল রাখতে বলেন এই তারকারাও। চুলের স্টাইলে কিছু ভুল করতে সবসময়ে বারণ করলেন তাঁরা। উপদেশ দিলেন বিশেষজ্ঞরাও।

পনিটেল বা টপনট যাই চুলে বাঁধা হোক, খুব কষে বাঁধা যাবে না। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। চুল ঝরেও যায় সহজে। গরম রোলার বা স্ট্রেটনিং আয়রন ব্যবহার ব্যবহার না করাই ভাল। প্রায়ই যদি চুলে রোলার চালানো হয়, তবে তা হলে চুলের জন্য ক্ষতিকারক। চুল যেমন রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যাবে, তেমনই চুল ঝরাও শুরু হবে।

খুব বেশি আর্দ্রতায় চুল নষ্ট হয়। তাই এমন জায়গায় চুল বাঁধা যাবে না, যেখানকার পরিবেশ আর্দ্র। মানে বৃষ্টির সময়ে চুল খোলা রেখে স্টাইল করা উচিত নয়। এতে চুল নষ্ট হয়ে যায়। খোলামেলা জায়গা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কেশসজ্জা করাই ভালো।

চুল আঁচড়ানোর সময় তাড়াহুড়ো করা যাবে না, ধীরে ধীরে চুলের জট ছাড়িয়ে আঁচড়াতে হবে। এতে চুল কম পড়বে। কেশসজ্জার সময়ে খুব বেশিমাত্রায় প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত নয়। হেয়ার জেল, ওয়াক্স, স্প্রে বা মুজের মতো প্রসাধনীতে খুব বেশি পরিমাণে রাসায়নিক থাকে যা চুলের ক্ষতি করে। ক্রমাগত ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক আর নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। চুলে ঘন ঘন কালার করা বা হাইলাইট করা থেকে বিরত থাকুন। বাজারচলতি রঙের রাসায়নিক প্রভাব চুলের স্বাভাবিক রং নষ্ট করে দেবে। ফলে অকালেই চুল পাকতে শুরু করবে।

Priyanka Sarkar

Priyanka Sarkar

About Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Welcome to Xplorent Media, where every click brings the colourful worlds of Bollywood and Tollywood  to life. 

Our Company

Get Latest Updates and big deals

    Come along and discover the wonders of television, films, and celebrity culture like never before!

    Xplorent Media @2024. All Rights Reserved.