আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন সকলে। বাদ জাননি বাচিক শিল্পী থেকে চলচ্চিত্র তারকা, সঙ্গীতশিল্পী থেকে ছোট পর্দার সকল অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং লেখকরা। সকলের কণ্ঠেই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিচারের স্লোগান। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রতিবাদ মিছিল। প্রত্যেকেই নিজেদের মতো করে এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন। এবার বরাহনগরে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিলেন বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মঞ্চের উপর গিটার হাতে চড়ালেন সুর। পিছনে বসে থাকা সকল মহিলাদের একসঙ্গে ‘আগুনের পরশমণি’ গান গাইতে শোনা যায়। সেই গানের সুরে তাল মিলিয়ে গিটার বাজানোর চেষ্টা করছেন বিধায়ক অভিনেত্রী । এই ভিডিও ভাইরাল হতেই কটাক্ষের বন্যা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন নেটিজেনরা। কেউ লিখেছেন,”লজ্জা ঘৃণা ভয় তিন থাকতে নয়। এরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে।” আবার কারও মতে, “এটা অনেকটা ঋতুপর্ণার শঙ্খ বাজানোর মতো।” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ”ঢং, খেলা পেয়েছেন একটা। কোনও লজ্জা নেই আপনাদের। ন্যাকামি চলছে।” এখানেই শেষ নয় এবিষয় সরব হয়েছেন ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটার বং গাই অর্থাৎ কিরণ দত্ত। তিনি এই ভিডিও দেখার পর লিখেছেন, “আজ থেকে গিটার বয়কট করলাম।”
বিষয়টি নজর এড়ায়নি জিতু কামালেরও। তাঁর মতে এই ব্যাপারটা বড্ড “দৃষ্টিকটু”। সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের সুরে একটি সুদীর্ঘ পোস্টে তিনি লেখেন, “এক সময় বাংলার রাজনীতির দিকে গোটা ভারতবর্ষ তাকিয়ে থাকতো। স্বাধীনতা আন্দোলনেও বাংলার রাজনীতির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। আজও ২০২৪ এ বাংলার রাজনীতির ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয়।
কিন্তু এগুলো কি..! পেছনে বসে থাকা মা-বোনেরাও কী মানতে পারছেন??
যে বা যারা টিকিট দিলেন, একবারও ভাবলেন না! ওঁর স্বাদ, ওঁর শখ,ওঁর রাজনৈতিক জ্ঞান সম্বন্ধে??? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বাংলার রাজনীতিকে!
ট্রাজেডি না কমেডি, বিরহ না আনন্দ! অনুভূতিটা বুঝতেই পারছি না!”।