সম্প্রতি অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর ভারতের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর ক্ষেত্রে এসএস রাজামৌলির ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করেছেন। সামান্থা বিশ্বাস করেন, দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাকে সমগ্র ভারতের দর্শকের কাছে নিয়ে যেতে রাজামৌলি স্যারের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তার মতে, রাজামৌলি তাঁর ‘বাহুবলী’ সিনেমার মাধ্যমে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি প্যান-ইন্ডিয়ান ধারার সূচনা করেন, যা দেশব্যাপী দক্ষিণী চলচ্চিত্রের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। সামান্থার মতে, রাজামৌলি দক্ষিণের প্রথম পরিচালক যিনি এই ধরনের সাফল্য অর্জন করতে পেরেছেন এবং যিনি মনে করেছেন যে তার ছবির ‘ডানা আছে,’ অর্থাৎ, এটি ভারতজুড়ে এবং বিশ্বব্যাপী দর্শকের মন জয় করতে পারবে।
দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং এটির প্যান-ইন্ডিয়ান সাফল্য নিয়ে সামান্থা আরও বলেন যে, এই অঞ্চলের সিনেমাগুলি চিরকালই সৃজনশীল এবং প্রতিভাময় ছিল। কিন্তু অতীতে এগুলোর বিপণনের অভাব ছিল, যা তাদের আন্তর্জাতিক স্তরে জনপ্রিয় হতে বাধা দিয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জন্য বিপণন এবং প্রচারণা কৌশল উন্নত হয়েছে, যার ফলে এই সিনেমাগুলি এখন সমগ্র ভারতে দর্শক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করছে।
এছাড়া সামান্থা তার সাম্প্রতিক ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল: হানি বানি’-এর মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। বরুণ ধাওয়ানের সাথে এই ওয়েব সিরিজে তার চরিত্রটি একাধিক ভাষায় (ইংরেজি, তেলেগু এবং তামিল) অনর্গল কথা বলে, যা ভারতের বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং আকর্ষণীয়। ফলে ভারতীয় দর্শক শুধুমাত্র এক ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একাধিক ভাষার মিশ্রণে পরিবেশিত বিষয়বস্তু থেকে উপভোগ করতে পারেন।
সামান্থার মতে,
এই বৈচিত্র্যময় সংলাপ বিন্যাস শুধুমাত্র একটি বিনোদনমূলক অভিজ্ঞতা নয় বরং ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক চিন্তাধারার প্রতি অঙ্গীকারের প্রকাশ। তিনি আশা করেন, এই ধরনের প্রচেষ্টাগুলি ভবিষ্যতে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বৈচিত্র্যময় এবং বহুভাষিক বিষয়বস্তু নির্মাণে সাহায্য করবে। এ ধরনের উদ্যোগ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বৈশ্বিকভাবে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত পটভূমির দর্শকদের একত্রিত করবে।
উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে যে চলচ্চিত্র ব্যবধান ছিল, তা এখন ক্রমেই কমছে। সামান্থা মনে করেন, এসএস রাজামৌলি এবং অন্যান্য দক্ষিণ ভারতীয় নির্মাতারা এর পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র তাদের স্থানীয় দর্শকদের কাছে সীমাবদ্ধ না থেকে ভারতজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জনের সম্ভাবনাকে উন্মুক্ত করেছে। সামান্থা বলেন, প্যান-ইন্ডিয়ান সাফল্য অর্জন করা দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি গর্বের বিষয় এবং এটি ভবিষ্যতে আরও সুযোগ তৈরি করবে।