মানুষের এক জন্মের করা অপরাধের ফল ভোগ করতে হয় তাঁর পরজন্মে। আর যে জন্মের ভুল সেই জন্ম তো আর বাদ থাকে না। অনেকটা এরকমই ঘটছে বলিউডের ভাইজান তথা সলমান খানের সঙ্গে। কেরিয়ারের উঠতি সময়ে করা তাঁর এক অপরাধের মাশুল আজও দিতে হচ্ছে ভাইজানকে। তবে এবারে সলমান খান নিজেই স্বীকার করলেন নিজের দোষের কথা।
ভাইজানের প্রতি কিসের আক্রোশ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের?
বন্ধু বাবা সিদ্দিকির হত্যা মৃত্যুর পর থেকেই একাধিক প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন সলমান খান। বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সুপারস্টারের নিরাপত্তা। হুমকির নেপথ্যে রয়েছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, এমনই অভিযোগ। তবে কিসের এতো রাগ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সলমানের ওপর। কারণ হিসেবে জানা যায়, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই সলমানকে নিজের শত্রু মনে করে সে।
তবে এবারে প্রাণনাশের হুমকির মাঝেই কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন সলমান। পুরনো ভিডিওর প্রসঙ্গ তুলে মনের কথা বললেন সুপারস্টার। স্বীকার করলেন নিজের দোষের দিকগুলোও। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর জন্যই নয়ের দশকে সলমানকে থানায় যেতে হয়েছিল। থানার ভিতরের একটি ভিডিও বহুদিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী রজত দালালকে সহবত শিক্ষা দিলেন সলমান।
শোনা যায়, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। অভিযোগ, সেই ছবির শুটিং চলাকালীনই শিকারে গিয়েছিলেন সলমন খান, সইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, তাব্বুরা। সেখানেই কৃষ্ণসার হরিণ শিকার ও হত্যা করা হয়েছিল। কৃষ্ণসার হরিণকে ইশ্বরজ্ঞানে পুজো করেন বিষ্ণোই সমাজ। আর সেজন্যই লরেন্স বিষ্ণোইর রোষানলে পড়েন সলমান। এমনকী, সলমানের বাড়ির গুলিবর্ষণের নেপথ্যেও নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়েরই হাত রয়েছে।
কদিন আগে থেকে ঘনঘন প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা। এমন পরিস্থিতিতে ‘বিগ বস’ শোয়ের একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলা সংক্রান্ত পুরনো ভিডিও নিয়ে সলমানকে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।
বিগ বসের মঞ্চে নিজের করা কোন ভুলের কথা স্বীকার করলেন ভাইজান?
বলিউডের ভাইজান রজতকে বলেন, “আমার আগের ক্লিপিং দেখেছেন হয়তো। মনে হতে পারে এই দ্যাখো সলমান খান পুলিশ স্টেশনে বসে আছে মেজাজ নিয়ে। কিন্তু আমি তো এতে জড়িতই ছিলাম না, তাহলে ভয় পাবো কেন? তবে কোনও পদস্থ কর্তাব্যক্তি যখন আসেন, তখন উঠে দাঁড়ানো, তাঁকে সম্মান জানানো, ওই পদকের সম্মান জানানো দরকার ছিল। তাই যখনই আমি আমার ওভাবে বসে থাকার ক্লিপিংটা দেখতে পাই নিজেরই ভালো লাগে না। ভাবি, অল্প বয়সে এ আমি কী করেছিলাম। আমার একটা হাঁটাচলার ধরন রয়েছে তা তো বদলাতে পারব না। তাতে মনে হয় বদমেজাজি, অহংকার আছে। তা নেই। আপনার সামনে আপনার থেকেও জোরে কথা বলতে পারি আমি। কিন্তু তা তো আমি করি না! এটা আমার চয়েজ।”
ভাইজানের কথা শুনে বোঝা যায়, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার কথা তিনি মোটেই স্বীকার করেন নি। তবে বলিউডের ভাইজান হয়ে, থানায় বসে পুলিশ অফিসারের সঙ্গে বাজে ব্যবহার ও মেজাজ দেখানোর জন্য অনুতপ্ত তিনি। এই কথা তুলেই সলমান রজতকে ভদ্রসভ্য ব্যবহার করার শিক্ষা দেন।