একের পর এক খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও মডেল মালাইকা আরোরা। প্রথমে অর্জুন কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদ, তারপর বাবার মৃত্যু। তবে খারাপ সময় মালাইকার পাশে দাঁড়ান বলিউডের ভাইজান সালমান খান। শোনা গেছে নিজের শ্যুটিংয়ের কাজ ফেলে মালাইকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সালমান খান। তখন তিনি মুম্বই শহরের বাইরে গিয়েছিলেন শুটিং করতে।
চলতি বছরের প্রথম দিকে বিচ্ছেদ হয় মালাইকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরের। তবে সেই বিচ্ছেদের শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই নিজের সৎবাবাকে হারালেন মালাইকা। তাঁর এই দুঃসময়ের খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন প্রাক্তন স্বামী আরবাজ খান। বিপদে মালাইকার পাশে ছিলেন তিনি।নিজের কাজ ফেলে মালাইকার পাশে দাঁড়াতে এসেছিলেন সালমান খানও। সেই সময় তিনি মুম্বই শহরের বাইরে শ্যুটিং করছিলেন। তবে ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রীর বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়াতে ভোলেননি সালমান।
কুর্নিশ জানালেন প্রাক্তন বৌদি সীমা
সালমানের এই পদক্ষেপকে অভিবাদন ও কুর্ণিশ জানিয়েছেন তাঁর আরেক ভাই সোহেল খানের প্রাক্তন স্ত্রী সীমা সাজদেহ। খান পরিবারের প্রশংসা করে সীমা বলেন, মানুষের খারাপ সময়ে বা প্রয়োজনে সালমান খানের পরিবার সবসময় তাঁদের পাশে থাকেন। তাঁদের এই মনোভাবই তাঁদের পরিবারকে একসঙ্গে বেঁধে রেখেছে। সীমা বলেন তিনি নিজেও ওই পরিবারের প্রাক্তন সদস্য। তবে এই পরিবারের সদস্যরা যেকোনো মানুষের বিপদে এসে দাঁড়াতে দু’বার ভাবেন না। এমন আচরণ তাঁরা ক্যামেরার সামনে বা প্রচারের স্বার্থে করেন না বলেও জানিয়েছেন সীমা।
চলতি বছরে সেপ্টেম্বর মাসে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন মালাইকার সৎবাবা অনীল কুলদীপ মেহতা। সেই সময়ে প্রথমে তাঁদের বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন মালাইকার প্রাক্তন স্বামী ও সালমানের দাদা আরবাজ খান। দেখা করতে এসেছিলেন মালাইকার প্রাক্তন শ্বশুর শ্বাশুড়িও।
মালাইকার সৎবাবার পরিচয়
মালাইকার যখন ১১ বছর বয়স তখনই তাঁর মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। মায়ের কাছেই বড়ো হন মালাইকা ও অমৃতা দুই বোন। তবে অভিনেত্রীর জন্মদাতা বাবার নামও আসলে অনিল। মা জয়িস আদতে খ্রিস্টান। পরে তিনি এই অনিল কুলদীপ মেহেতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। জন্মদাতা বাবার থেকেও মালাইকাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর। পিতৃজ্ঞানে অনিল কুলদীপ মেহেতার সঙ্গে আদুরে ছবিও পোস্ট করতেন মালাইকা। আসলে তিনি অভিনেত্রীর সৎ বাবা। আর বয়সও তাঁর থেকে খুব একটা বেশি নয়। সৎ বাবার সঙ্গে মালাইকার বয়সের ফারাক মাত্র ১১ বছর। অনিল কুলদীপ মেহেতার বয়স ৬২। অন্যদিকে মালাইকা পঞ্চাশ ছুঁয়েছে।
১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মালাইকা ও আরবাজ। ২০০২ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান আহান খানের জন্ম হয়। এরপর ২০১৭ সালে মালাইকা ও আরবাজ বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। তবে সাধারণ সৌজন্য বজায় রেখেছেন তাঁরা দুজনেই। পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠানে একসঙ্গে উপস্থিত থাকেন তাঁরা।
২০১০ সালের ‘দাবাং’ সিনেমার আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম হুয়া’তে একসঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছিল সালমান ও মালাইকাকে। তবে ভাই আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে আর মালাইকার সঙ্গে দেখা যায়নি সালমানকে। কিন্তু প্রাক্তন বৌদির বিপদে পাশে দাঁড়াতে এসেছেন সালমানও। বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্নহত্যা করেছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। দুঃসময়ে প্রাক্তন প্রেমিক অর্জুন কাপুরও তাঁদের পাশে ছিলেন।