একের পর এক সাফল্য এখন কৃতি শ্যাননের ঝুলিতে। কিছু দিন আগেই পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। এবারে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি ‘দো পাত্তি’। এই প্রথমবার নায়িকাকে দর্শক দেখবেন দ্বৈত চরিত্রে। এক দিকে দেখা যাবে তাঁর মিষ্টি, সাধারণ সত্ত্বা। অন্য দিকে নায়িকাকে দেখা যাবে আবার সুন্দরী, লাস্যময়ীর চরিত্রে। থ্রিলার গল্পের এই সিনেমায় তাঁর একটি চরিত্রের নাম সৌম্যা এবং অন্য একটি চরিত্রের নাম শৈলী। সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন বলিউডের ব্ল্যাক বিউটি কাজল ও ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা শাহীর শেখ।
এই ছবিতে দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৃতি। তবে বাস্তব জীবনে নিজের বোনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন কৃতির? অভিনয় নিয়ে ছোটো বোনের সঙ্গে তুলনা করেন আত্নীয়রা। বলিউডে কৃতির কেরিয়ারে সাফল্য আসার পর নাকি আত্মীয়রাই দুই বোনের মধ্যে সবসময় বিভেদ সৃষ্টি করেন। বড় বোনের সঙ্গে চলে ছোটোজনের তুলনা। তবে আত্নীয়দের এই ব্যাপারটি মোটেই পছন্দ নয় কৃতির।
বোনের সঙ্গে কি প্রতিযোগিতা চলে কৃতির?
প্রথম সারির দুই অভিনেত্রী সম্পর্কে দুই বোন। এমন উদাহরণ বলিউডে প্রচুর আছে। কারিনা কাপুর ও কারিশমা কাপুর, পূজা ভাট ও আলিয়া ভাট।তবে দুইবোন হলেই কি তুলনা আসবে? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবেই কৃতির উত্তর আসে, কৃতি বলিউডে সাফল্য পাওয়ার পরই নাকি আত্মীয়রা তাঁদের দুই বোনের মধ্যে একটা বিভেদ সৃষ্টি করেন। যা মোটেও পছন্দ করেন না কৃতি।২০১৪ সালে ‘হিরোপান্তি’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন কৃতি। বর্তমানে তাঁর ঝুলিতে আছে ‘মিমি’, ‘লুকাছুপি’, ‘বারেলি কি বরফি’, ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’র মতো হিট ছবি। এখন বলিউডে প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যেই পড়েন অভিনেত্রী কৃতির শ্যানন। চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেলো কৃতির নতুন সিনেমা ‘দো পাত্তি’। সেই ছবির সম্প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। এই ছবির প্রযোজকও কৃতি নিজে। এছাড়াও পোশাক ও প্রসাধনীর তাঁর নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে।অন্যদিকে বড়পর্দায় পা রেখেছেন কৃতির ছোট বোন নুপূর শ্যানন। দক্ষিণী সিনেমা ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’য়ের পাশাপাশি ‘পপ কৌন’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় ভক্তদের মন জিতেছে। তবুও দিদির সঙ্গে তুলনা? এই বিষয়ে আগেই মুখ খোলেন নুপূর। বলেন, বিশেষত ‘মিমি’র পরে তাঁর দিদি এমনিই এক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। তবে নুপূর এখনো সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেননি। তাই আত্নীয়দের এই তুলনা অযৌক্তিক।
আত্মীয়রা কেমন ব্যবহার করতেন?
আবার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গেই কৃতি মুখ খোলেন। বলেন আত্নীয়দের এই তুলনার ফলে তাঁদের বন্ধনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। কৃতির যখন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন তখন তাঁর বোন নুপূর খুবই ছোট। এমনকি কৃতির পরিবার মুম্বইয়ে থাকত অবধি না। এরপরেও তাঁদের আত্মীয় স্বজনরা তাঁদের দু’বোনের মধ্যে একটা ভাগাভাগি করতেন। যা কৃতির নিজেরও বেশ অযৌক্তিক লাগতো ও তাঁর রাগ হত।
কখনও কারও বাড়ি গেলে তাঁদের দুজনার সঙ্গে ভিন্ন ব্যবহার করা হত। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর ক্ষেত্রেও তাঁর ও তাঁর বোনের মধ্যে বিভেদ করা হতো। তাঁর মনে হয় এটা মানুষের খুবই অপরিণত মানসিকতার ফসল। তবে বোনের এসব বিষয় খারাপ লাগত কিনা সেবিষয়ে কৃতি বলেন, তাঁর বোন হলেও নুপূর নাকি বেশ শক্ত মনের মেয়ে। বলতে গেলে তাঁর থেকেও বেশ পরিণত। তাই যদি কোনো কিছু খারাপ লেগেও থাকে সেটা সে কখনোই বুঝতে দিতো না। নুপূর সব কিছুই বেশ শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে পারে বলে জানায় দিদি কৃতি শ্যানন।