শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তী তাঁদের ছোট মেয়ে ইয়ালিনীর প্রথম জন্মদিনটি অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিকভাবে উদযাপন করলেন। মেয়ের পয়লা জন্মদিন বলে কথা! এমন বিশেষ দিন উপলক্ষে যে বড় ধরনের আয়োজন হবে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। তবে সেই আয়োজনটি কতটা বিশেষ ও অনন্য ছিল, তা জানান দিলেন রাজ চক্রবর্তী নিজেই।
আধ্যাত্মিক আয়োজনের বিশেষত্ব
ইয়ালিনীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁদের বাড়িতে ইসকনের সাধুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাড়ির কুলদেবতাদের পূজা এবং পুষ্প অভিষেকের ব্যবস্থা ছিল। ফুল, ফল এবং ২১ রকমের নিরামিষ পদের ভোগ তৈরি করা হয়েছিল। জন্মদিন বলে আমিষ খাবার একেবারেই রাখা হয়নি। ইসকনের সাধুদের দ্বারা পূজার্চনার পর যজ্ঞ সম্পন্ন হয়। এই আয়োজনটি যেন একদিকে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া দেয়, অন্যদিকে ইয়ালিনীর জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে।
পরিবারের সম্পূর্ণ ভূমিকা
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় নিজে হাতে পুরো আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পুজোর সব কাজ নিজে তত্ত্বাবধান করেন। বাড়ি সাজানোর জন্য শুভশ্রী নিজেই হাওড়ার ফুলবাজার থেকে ফুল কিনে আনেন। অন্যদিকে, ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে রাজ চক্রবর্তীও দিনটিকে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য শুটিং থেকে ছুটি নেন। তিনি জানান, ছোট ছেলে ইউভান সকাল থেকেই বোন ইয়ালিনীকে ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছে।
ঘরোয়া উদযাপন
সন্ধ্যায় একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিবারের ঘনিষ্ঠরা উপস্থিত ছিলেন। কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। রাজ এবং শুভশ্রী দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইয়ালিনীর একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। রাজ তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন আমার অমূল্য সম্পদ, আমার মেয়ে।” শুভশ্রীও একইভাবে মেয়ের জন্য ভালোবাসায় ভরা পোস্ট শেয়ার করেন।
রাজ এবং শুভশ্রী দুজনেই বরাবর আধ্যাত্মিক এবং ঐতিহ্যপ্রিয়। তাঁদের বাড়িতে রথযাত্রা, জন্মাষ্টমী, লক্ষ্মীপুজো, রাসযাত্রার মতো বিভিন্ন উৎসব পালন করা হয় নিয়ম মেনে। ইয়ালিনীর জন্মদিনেও সেই ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যায়। রাজ জানিয়েছেন, তাঁর একমাত্র ইচ্ছে যে তাঁর দুই সন্তান, ইউভান এবং ইয়ালিনী যেন সুশিক্ষিত এবং সৎ মানুষ হয়ে ওঠে।
রাজ এবং শুভশ্রী দুজনেই নিজেদের কাজের জগতে ব্যস্ত, তবে পরিবারের জন্য সময় বের করতে কখনোই কার্পণ্য করেন না। সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং খুনসুটিতে মেতে ওঠা তাঁদের কাছে জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত। ইয়ালিনীর প্রথম জন্মদিনের এই বিশেষ আয়োজন তাঁদের সাংসারিক বন্ধনের মাধুর্য এবং সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার একটি সুন্দর উদাহরণ।
ইয়ালিনীর জন্মদিনের এই আয়োজনটি শুধু এক দিনের উদযাপন নয়, বরং এটি ছিল তাঁদের পারিবারিক ঐতিহ্য, আধ্যাত্মিকতা এবং ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি।