রাঘব চাড্ডা এবং পরিণীতি চোপড়া তাদের সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া গঙ্গা আরতির মাধ্যমে ভক্তদের মধ্যে একটি ধর্মীয় আলোচনা সৃষ্টি করেছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানে তাদের রাজকীয় বিবাহের পর, এই তারকাদম্পতি বর্তমানে নিজেদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক চর্চায় মনোনিবেশ করছেন। তাদের গঙ্গা আরতি করা, যা বেনারসের ঐতিহ্যবাহী দশাশ্বমেধ ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়, সেটা শুধু এক ধর্মীয় অভিজ্ঞতা নয়, বরং তাদের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেও দেখা হচ্ছে।
ধর্মীয় চর্চায় মন দিয়েছেন রাঘব-পরিণীতি, বেনারসে তাদের বিশেষ মুহূর্ত…
এদের গঙ্গা আরতি অনুষ্ঠানটি সাধারণত শাস্ত্রীয় নিয়ম অনুসরণ করে হয়, এবং সেখানে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তারা নিজেদের আধ্যাত্মিক জীবনে গভীরতা আনতে চাচ্ছেন। ভিডিওটিতে, রাঘব চাড্ডা সবুজ সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায় গঙ্গা আরতির জন্য পুজো করছেন, এবং পরিণীতি চোপড়া তার পাশে বসে আছেন, একেবারে নীরবে এবং গম্ভীরভাবে। তাদের উপস্থিতি এবং পুজোর মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক ভাবের সঞ্চারণ ঘটে, যা দর্শকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা শুধু ধর্মীয় কার্যকলাপের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না, বরং নিজেদের জীবনে শান্তি এবং আত্মিক উন্নতিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন।
রাঘব-পরিণীতির গঙ্গা আরতির ভিডিও ভাইরাল, কি নিয়ে এত ভক্তদের কৌতূহল??
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তাদের ভক্তরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন যে, “ধর্ম-কর্মে মন দিয়েছেন তারা, তাহলে কি অচিরেই তাদের সংসারে নতুন সদস্য আসতে চলেছে?” এই মন্তব্যগুলো বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, তাদের এই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক জীবনযাত্রার পরিবর্তন হয়তো তাদের ব্যক্তিগত জীবনের পরবর্তী স্তরের সূচনা হতে পারে। তবে, সঠিক কোনো ঘোষণা এখনও করা হয়নি।
এছাড়া, রাঘব-পরিণীতির সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাঘব চাড্ডার মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এই পরিবারিক উপস্থিতি তাদের এই আধ্যাত্মিক যাত্রায় সমর্থন এবং প্রেরণা দেয়। এর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, তারা শুধু নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের দৃঢ়তা সৃষ্টি করছেন না, বরং তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে এই ধর্মীয় অভ্যাসগুলো পালন করছেন।
শংকরাচার্যের আশীর্বাদে রাঘব-পরিণীতির আধ্যাত্মিক যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত….
এছাড়া, তারা দিল্লিতে শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন, যেটি তাদের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক মুহূর্ত। শংকরাচার্যের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার মাধ্যমে তারা আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন তাদের ধর্মীয় জীবনের দিকে। এটি তাদের জন্য একটি আশীর্বাদপূর্ণ এবং শুভ মুহূর্ত ছিল, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সমস্ত ধর্মীয় কার্যক্রম এবং আধ্যাত্মিক যাত্রা রাঘব এবং পরিণীতির জীবনকে আরও পূর্ণতা এবং শান্তি দিচ্ছে, এবং তাদের ভক্তরা এই পরিবর্তনগুলোকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।