এই মুহূর্তে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর নাম চেনে না এমন কেউ নেই। নিজের অভিনয় গুণে তিনি মন জয় করেছেন হাজার হাজার মানুষের। তবে শুধু অভিনয় জীবন নয়! নিজের স্ত্রী মৃদুলা ত্রিপাঠির সঙ্গে তাঁর সুখী দাম্পত্য জীবন নিয়েও চর্চায় থাকেন খবরের। এবার পঙ্কজ পত্নী মৃদুলা ত্রিপাঠি ভাগ করে নিলেন নিজের দুর্গাপুজোর স্মৃতি। মৃদুলা জানান তাঁর পরিবারের ইতিহাস দেখলে মনে হবে তিনি হয়তো বিহারের মেয়ে তবে আদতে তিনি একজন নিখাদ বঙ্গ কন্যা। কলকাতা শহরের বুকে জন্ম নিয়েছেন , শুধু তাই নয় পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রেম সেখান থেকে বিয়ে সবকিছুই এই কলকাতা শহরকে ঘিরে আর সেই কারণে দুর্গা পুজোকে কোনওভাবেই ভুলতে পারেন না মৃদুলা। তিনি জানান পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে বিয়ের আগে অর্থাৎ প্রেম পর্ব চলাকালী কলকাতায় চুটিয়ে ঠাকুর দেখেছেন এই তারকা দম্পতি। তবে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন মৃদুলার বাবা।
মৃদুলার পুজোর স্মৃতি
পঙ্কজ ঘরনীর কথায় ভবানীপুরে তিন বছর তাঁর দিদি পুজো করেছেন নিজের বাড়িতে। মহালয়া থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী, সিঁদুর খেলা, ভাসান সব কিছু পালন করা হতো তাঁর দিদির বাড়ির দুর্গাপুজোয়। তিনি বলেন বড় বড় কড়াইতে খিচুড়ি ভোগ রান্না করা হতো। প্রচুর লোক আসতো তাঁদের বাড়িতে, সেই কারণে বাড়ির পরিবেশটাই অন্য রকম হয়ে যেত। মৃদুলার দিদির বৌমা ছিলেন একজন বাঙালি, তাই তাঁরা যদি কোনও নিয়ম-কানুন না বুঝতে পারতেন তাহলে তাঁর দিদির বৌমা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতেন সেই সমস্ত নিয়ম। তবে টানা তিন বছর তাঁর দিদি নিজের বাড়িতে পুজা করার পর বিভিন্ন কারণে আর করতে পারেননি মায়ের আরাধনা, বন্ধ হয়ে যায় সেই পুজো। কলকাতার দুর্গাপুজার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মৃদুলা বলেন, তিনি তাঁর দিদি এবং দিদির বৌমা সকলে মিলে ধুনুচি নাচ নেচেছেন। তাঁর মতে দুর্গা পুজা মানেই ধুনুচি নাচ হতেই হবে। তিনি বলেন ঢাক, করতাল, শঙ্খ, উলু সবকিছুর সঙ্গে জায়গাটা আরও পবিত্র হয়ে ওঠে। মৃদুলা এবং পঙ্কজের এর কন্যা সন্তান নাকি শিখে গেছে শঙ্খ বাজাতে তবে তিনি বলেন পঙ্কজ একদমই নাচ করতে ভালোবাসেন না তিনি দূর থেকেই সব দেখেন।
অন্যদিকে পঙ্কজের বন্ধুরা আবদার করেছেন তিনি যেন নিজের বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন। মৃদুলার কথায় যদি সবকিছু ঠিক থাকে হয়তো আগামী বছর থেকেই তিনি শুরু করবেন দুর্গো উৎসব । তবে পঙ্কজ ত্রিপাঠীর কাজের সূত্রে মৃদুলা থাকেন মুম্বইতে। আর মুম্বই মানেই বড় বড় তারকারা নিজেদের বাড়িতে পালন করেন দুর্গ উৎসব। তবে মৃদুলা কোনও পুজোতেই জাননা কারণ তাঁর মতে সেখানকার পুজোয় ভীষণ ভিড় থাকে আর কলকাতার পুজোর স্বাদ অন্য কোথাও পাওয়া অসম্ভব। সেই কারণে মন খারাপ হয়ে যায় তাঁর। তবে যে কলকাতায় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দেবীর আরাধনা করা হয় সেই কলকাতাতেই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটার ফলে লজ্জিত বোধ করছেন মৃদুলা তবে তিনি বিশ্বাস করেন এ বছর হয়তো মায়ের পুজোয় সকলের মন সুন্দর হয়ে উঠবে এমনটাই কামনা তাঁর।