ওটিটি প্লাটফর্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠী! ‘মির্জাপুর’ ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় মন জিতেছে দর্শকদের। সাফল্যর চূড়ায় পৌঁছেছেন তিনি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’র দ্বিতীয় সিজন। এই সিজনেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ওপার বাংলার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিজের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বললেন শ্বেতা।
নতুন সিক্যুয়েল শুরুর আগে, নিজেকে ঝালিয়ে নিতে কি করেন শ্বেতা?
ওটিটি মাধ্যম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত পরিচালিত ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’র দ্বিতীয় সিজন। ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই সিজন। চলতি বছরেই মুক্তি পেয়েছে মির্জাপুর ওয়েব সিরিজের তৃতীয় কিস্তি। তাই জোড়া সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত শ্বেতা। সাক্ষাৎকারের শুরুতে শ্বেতা নিজেই বললেন, তাঁর ভক্তরা অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন “ইয়ে কালি কালি আঁখে ২” এর জন্য। সকলের এতো আশা আগ্রহ দেখে খুশির পাশাপাশি একটু চাপেও ছিলেন তিনি। তবে সবকিছুকে জীবনের এক অংশ ভাবেন শ্বেতা। বলেন, এখানেও সকলে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। আর সিরিজ মুক্তির পর সেই পরিশ্রমের দামই মিলছে। দর্শকের থেকে ভালোবাসা, প্রশংসা পাচ্ছেন, এটুকুই পর্যাপ্ত তাঁর জন্য।
‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’র প্রথম ও দ্বিতীয় সিজনের মধ্যে লম্বা সময়ের ব্যবধান রয়েছে। শ্বেতা বলেন এই সিরিজে ‘শিখা’ চরিত্রে অভিনয় করতে আগের সিজন ফের দেখেছেন শ্বেতা। তাঁর কথায়, “মির্জাপুর ৩”-এর সময়ও তিনি আগের দুটি সিজন দেখেছিলেন। এই সিরিজের ক্ষেত্রেও তা–ই করেছেন। তাঁর অভিনীত চরিত্রের শারীরিক ভাষা, কণ্ঠস্বর ঝালিয়ে নেওয়ার জন্যই তাঁর আগের সিজন দেখার দরকার থাকে বলে জানান তিনি। যেন নতুন সিজনে আগের ভুলত্রুটি গুলো শুধরে নিতে পারেন।
ওটিটি আসার পর প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে ঠিক, তবে অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা পছন্দ নয় শ্বেতার!
অভিনেত্রী শ্বেতা বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় তিনি বিশ্বাসী নন, তবে মাঝেমধ্যে খুব হিংসে হয় তাঁর। কখনো কখনো অন্যদের অভিনীত চরিত্র দেখে নাকি হিংসে হয় অভিনেত্রীর। তাঁর মনে সেইসব চরিত্রে অভিনয় করার সাধ জাগে। নারীদের তুলনায় পুরুষদের অভিনীত চরিত্রগুলো তাঁর বেশি ভালো লাগে। উদাহরণস্বরূপ তাঁর অভিনীত সিরিজেই তাহির (রাজ ভাসিন) এর চরিত্র তাঁকে খুব টানে। সুযোগ পেলে তিনিও এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চান। আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী বলেন, অভিনেত্রীদের এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ সচরাচর আসে না।
সাক্ষাৎকারের শেষে নিজের সাফল্য নিয়ে শ্বেতা বলেন, আজকাল সফলতার নির্ধারক আমাদের সমাজই। যোগ্যতা কতটা অথবা অর্জনের ঝুলিতে কি আছে সেই হিসেবে এখন সাফল্যের মাপদণ্ড হয় না। অভিনেত্রীর কথায় মানুষের দামি পোশাক, নামীদামি গাড়ি, বাড়ি এসবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সফলতার সংজ্ঞা। অভিনেত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী সমাজ মূলত অন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। এমনকি শিল্পীরাও ভুলে যাচ্ছেন, যে তাঁরা অভিনয়শিল্পী। তাঁর কাছে সবচেয়ে জরুরি নিজের প্রতিভাকে আরও ধারালো করা। আর যেসমস্ত চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ তাঁর কাছে আসে সাফল্যের সঙ্গে মনপ্রাণ ঢেলে তাতে কাজ করা।