সম্প্রতি কলকাতায় ৩১ বছরের চিকিৎসক তিলোত্তমা নির্যাতন ও খুনের ঘটনা সারা দেশে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্সার বিচারের দাবিতে নানা ধরনের ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করছেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ার নানা ভিডিও এবং পোস্ট নিয়ে তৈরি হচ্ছে তীব্র বিতর্ক। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার ও ইউটিউবাররা তিলোত্তমার বিচার চেয়ে সজাগ ও সক্রিয়। অথচ তাদের এই কাজকে কেন্দ্র করেই হতে হচ্ছে চরম ট্রোল। বিশেষ করে বং গাই কিরণ দত্তের প্রচার ও প্রতিবাদ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের আলোচনা চলছে। তিলোত্তমার ঘটনার পর থেকেই তাঁর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্সার, ইউটিউবার এবং সাধারণ মানুষ সক্রিয়ভাবে ঘটনার নানা দিক তুলে ধরছেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ট্রোলার দাবি করছেন এই সমস্ত ভিডিও এবং পোস্ট মূলত ভিউজ এবং টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হচ্ছে। কিছু কমেন্টে বলা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তারকারা আসলে এক্ষেত্রে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্যই এসব প্রচার নেমেছেন। কিরণ দত্ত যিনি একাধিক ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্টের মাধ্যমে তিলোত্তমার জন্য সঠিক বিচার চেয়ে প্রার্থনা সক্রিয় রয়েছেন তিনি এই ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানান তাঁর তৈরি ভিডিওগুলোতে কোনও ‘ মনিটাইজেশন নেই ‘ ( উপার্জনের সংশস্থান) অর্থাৎ এই ভিডিও গুলো থেকে কোন অর্থ উপার্জন হচ্ছে না। তিনি নাকি এই এক মাসে কোনরকম ব্র্যান্ডের প্রোমোশনে অংশ নেননি। কিরণ দত্ত বলেন ‘ টাকার জন্য করছি শুনলে মনোবল হারিয়ে ফেলি ‘। কিরণের এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন প্রশংসিত হচ্ছে তেমনি কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলছে। তিলোত্তমার মা-বাবার প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ১০ লাখ টাকা প্রস্তাবের পরেই কিরণ দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে অভয়ার বাবার বক্তব্য তুলে ধরে বলে টাকার পরিবর্তে সঠিক বিচারের দাবি করার গুরুত্ব চান তিনি। ওই পোস্টে মন্তব্য করে বলেন টাকা দিয়ে সব মেরুদণ্ড কেনা যায় না অপরাধীকে ধরে দিই সঠিক বিচার হোক ১০ লক্ষ টাকা তিনি নিজে দিতে রাজি আছেন। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি ও উৎসাহ প্রদানে কিরণ দত্ত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যবহার করেছেন। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলাদলি এবং বিভিন্ন জমায়েতের বিষয়ে কিরণ নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট আপডেট দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সারদের ভূমিকা তিলোত্তমার জন্য একটি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। এই বিচার বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সারদের ভূমিকা ও তাদের বিরুদ্ধে ট্রলিংয়ের এর ঘটনা এক নতুন আলোচনার বিষয় শুরু করেছে।