ধর্ষকের ফাঁসি চাই। এই দাবিতে যখন তোলপাড় সর্বত্র, তখন অভিনেত্রী মিশমি দাস বললেন অন্য কথা। না, বাঁচিয়ে রাখতে হবে ধৃতকে। এই আন্দোলনে পা মেলাতে দেখা যায়নি সিরিয়াল জগতের খুব পরিচিত মুখ মিশমি। তবে কি তিনি দোষীর শাস্তি চান না! একেবারেই তা নয়। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায়ে লেখেন ‘ফাঁসি? নাহ! ৯০ ডিগ্রিতে পা ভেঙে দাও। কলারবোন গুড়িয়ে দাও। এরপর ক্ষতবিক্ষত করো যৌনাঙ্গ। বাঁচিয়ে রাখো ধর্ষককে, এই নৃশংস অত্যাচারটা ভোগ করতে দাও। তারপর দাও ফাঁসি।’ তিনি বলেন দোষীরাও যেন ততটাই কষ্ট পায় যতটা কষ্ট সেদিন তিলোত্তমা পেয়েছিল। এক ইঞ্চি ও যেন কষ্ট কম না হয় দোষীদের। ফাঁসি দিলে তো খুব সহজেই মৃত্যু পাবে তারা, এত সহজে যেন তারা ক্ষমা না পায়।
ফিরে আসবে না তিলোত্তমা ঠিকই, কিন্তু দোষীদের বিচার হলে শান্তি পাবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। শুধুমাত্র মিশমি নয় হয়তো অনেকেই চান দোষীদের এই পরিণতি। গোটা মানব সমাজ তাকিয়ে আছে বিচার এর দিকে। আশা করে আছেন সেই দিনটার যেখানে বিচার পাবে তিলোত্তমার সকলেই, যাঁদের খবর হয়তো গলি থেকে রাজপথ পর্যন্ত পৌঁছায় না। এত আন্দোলন এত প্রতিবাদ সব কিছু সার্থকতা অর্জন করবে সেই দিন।
সেলেব থেকে আমজনতার একটাই স্বর ‘বিচার চাই’, এরই মাঝে ভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ অভিনেত্রী মিশমির। সোশ্যাল মিডিয়ায়ে সরব হয়েছেন তিনিও। বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করে তিনিও এবার সামিল হয়েছেন বিচারের দাবিতে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সম্প্রতি ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনায় সরব হয়েছে গোটা বিশ্ব। হাড় হিম করা ঘটনা ঘটেছে কলকাতার বুকে। সারা পৃথিবীর মানুষ, জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পায়ে পা মিলিয়ে বিচার চাইছে। কেউ ডেকেছে তিলোত্তমা নামে আবার কেউ তাঁকে ডেকেছে অভয়া বলে। অফিস পাড়া থেকে শুরু করে আন্দোলনে সামিল হয়েছে গোটা টলিপাড়া। টলিপাড়ার যে তারকারা পথে নামতে পারেননি তারাও তাঁদের আন্দোলন চালিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। পথে নেমে বহু তারকাকে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে । যেমন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা, ঐন্দ্রিলা সেন, অঙ্কুশ হাজরা , পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের। এছাড়াই রাস্তায় নেমেছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক তারকা। সবার গলায় শোনা গেছে একই আওয়াজ আমরা বিচার চাই, দোষীর শাস্তি চাই।