বাংলা সিরিয়াল ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র সাম্প্রতিক একটি প্রোমো নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক হাসাহাসি আর ট্রোল। এই প্রোমোতে দেখা যায়, কলকাতার এক আধুনিক বাড়ির অভ্যন্তরে চিতাবাঘ প্রবেশ করেছে, আর এই ঘটনাটি ঘটে যখন বাড়ির সবাই পুজোর প্রস্তুতিতে মত্ত। শ্যামলীর পরিবার যখন করিডোরে চিতাবাঘের সামনে পড়ে আতঙ্কিত, তখন শ্যামলী দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে চিতাবাঘকে দূরে সরানোর জন্য বাড়ির সবাইকে শাঁখ, কাঁসর এবং ঘণ্টা বাজানোর পরামর্শ দেয়। ফলাফল, বাঘটি কাঁসর-ঘণ্টার শব্দে ভয় পেয়ে শেষমেশ বাড়ি ছেড়ে পালায়।
কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বাঘ তাড়ানোর কৌশল, মজায় মেতেছে নেটিজেনরা…..
এই ঘটনাটির প্রোমো প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড় উঠেছে। তারা এই কাহিনির বাস্তবতাহীনতা ও অবাস্তবতাকে কেন্দ্র করে মজার ছলে প্রচুর ট্রোল করছেন। কেউ মজা করে বলেছেন, “এই পর্বটা লেখার সময় গল্পকার হয়তো একটু বেশিই গাঁজা খেয়ে ফেলেছিলেন।” আবার কেউ বলেছেন, “বাঘটা রাস্তায় বের হয়ে কোন দিকে গেছে কেউ জানলে বলবেন, কারণ আমারও শাঁখ, ঘণ্টা রেডি আছে।” একজন লিখেছেন, “মানুষ মারা বাঘ আর ভেজিটেরিয়ান বাঘ কি আলাদা আলাদা হয়? এমন বাঘ পেলে তো মজা হতো!”
আরও মজার ব্যাপার হলো, কেউ কেউ বলছেন, “এই প্রোমো দেখার আগে আমার চোখে ছানি পড়লো না কেন?” অনেকে আবার কৌতুক করে বলছেন, “যে বাঘটি এল, তাকে কি কেউ পূজোতে নিমন্ত্রণ করেছিল? বেচারা বাঘটা একবার পুজোটা দেখতেও পারলো না।” এরকমই আরও মজার মন্তব্য এসেছে, যেমন কেউ বলেছেন, “গল্পের গরু গাছে উঠতে পারে, কিন্তু এখন দেখি সিরিয়ালের গরুও গাছে উঠছে।” আরেকজনের প্রশ্ন, “এরপর কি কুমির আসবে?”
এই ধরনের অবাস্তব কাহিনির জন্য সমালোচনা করা হলেও বাংলা সিরিয়ালগুলিতে মাঝে মধ্যেই এমন কাহিনি দেখা যায়। এর আগে ‘ফুলকি’ সিরিয়ালে নায়িকা সুন্দরবনে গিয়ে কুমিরের মুখোমুখি হয়েছিল, যা নিয়েও প্রচুর ট্রোল হয়েছিল। সাধারণত, বাংলা সিরিয়ালগুলির কাহিনি বাস্তব থেকে দূরে চলে যাওয়ায় দর্শকদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন, আবার অনেকে এটাকে মজার দৃষ্টিতে দেখেন। সিরিয়াল নির্মাতারা হয়তো দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য এই ধরনের চমকপ্রদ দৃশ্য তৈরি করেন, তবে সেই চমক অনেক সময়েই নেটিজেনদের হাসির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
টিআরপি বাড়াতে সিরিয়ালের গল্পে চমকপ্রদ মোড়, ….
একাংশের মতে, সিরিয়াল নির্মাতাদের উচিত গল্পের মধ্যে একটু বেশি বাস্তবতা আনা, যাতে দর্শকরা বাস্তব জীবনের সঙ্গে কিছুটা মিল খুঁজে পান। কিন্তু আবার কেউ কেউ মনে করেন, এই ধরনের অবাস্তব দৃশ্যই সিরিয়ালের মূল আকর্ষণ এবং এই কারণেই সিরিয়ালগুলি টিআরপি পেতে সফল হয়। তবে কিছু দর্শক যেমন এই কাহিনিগুলিকে চরম হাস্যকর মনে করছেন, তেমনি অনেকে কেবল মজার ছলে উপভোগ করছেন।