বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত তার প্রিয় দাদী ইন্দ্রাণী ঠাকুরের মৃত্যুর পর তার স্মৃতিচারণ করেছেন। ১০০ বছরেরও বেশি বয়সী এই মহিয়সী নারী শুক্রবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কঙ্গনা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে এই দুঃখের খবরটি জানিয়ে তার দাদীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। কঙ্গনা বলেন, তার দাদী শুধু পরিবারের মূলস্তম্ভই ছিলেন না, বরং একজন শক্তিশালী, প্রগতিশীল নারী ছিলেন যিনি নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি বিশ্বাস রাখতেন এবং তা নিজের পরিবারেও ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
কঙ্গনা রানাউতের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দাদীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা….
কঙ্গনা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা পোস্টে বলেন, “আমার নানি একজন অসাধারণ মহিলা ছিলেন। তার পাঁচটি সন্তান ছিল, এবং সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে তার সকল সন্তান সেরা শিক্ষা পায়।” তার দাদীর চরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে কঙ্গনা আরও জানান, ইন্দ্রাণী ঠাকুর শুধুমাত্র তার সন্তানদের শিক্ষিত করার বিষয়েই গুরুত্বারোপ করেননি, বরং তিনি চেয়েছিলেন তার সন্তানরা স্বাবলম্বী হোক। এমনকি কন্যারাও স্বনির্ভর ও ক্যারিয়ার গড়ার অধিকারী হবে, এমন বিশ্বাসে অটল ছিলেন তিনি। এটি ছিল তার সময়ে অসাধারণ এক কৃতিত্ব।
কঙ্গনার পোস্টে জানা যায়, পরিবারে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছিলেন কঙ্গনার দাদী ইন্দ্রাণী ঠাকুর….
তার দাদী ইন্দ্রাণী ঠাকুর এমন এক পরিবার গড়ে তুলেছিলেন যেখানে তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হয়েছে। তার দাদী বিশেষভাবে গর্বিত ছিলেন এই কারণে যে, তার সন্তানদের কেউই অন্যের উপর নির্ভরশীল নয়। কঙ্গনার মতে, তার দাদীর আদর্শ ও শিক্ষার প্রভাবে পরিবারে নারীরা ক্যারিয়ার এবং জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছেন। কঙ্গনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে তাদের সেই মধুর মুহূর্তগুলো ফুটে উঠেছে যেখানে তিনি এবং তার দাদী হাসি বিনিময় করছেন।
কঙ্গনা তার দাদীর এই সংগ্রামী জীবন ও দূরদর্শিতাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমার নানি নিশ্চিত করেছেন যেন তার সন্তানেরা শিক্ষিত ও কর্মজীবনে সফল হয়।” এমনকি তার সময়ে সামাজিক বাধাবিপত্তির মধ্যেও তিনি নিশ্চিত করেছেন তার কন্যারা শিক্ষিত হবে এবং নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াবে। এটি ভারতীয় সমাজে নারীর জন্য বিশেষ অর্জন, বিশেষ করে ২০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। কঙ্গনার এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি তার দাদীর প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
অভিনেত্রীর এই শোকবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনুরাগী ও বলিউডের সহকর্মীরা কঙ্গনার দাদীর জন্য প্রার্থনা করেছেন এবং কঙ্গনাকে সমবেদনা জানিয়েছেন। ইন্দ্রাণী ঠাকুর একজন মা হিসেবে শুধু নয়, একজন নারী হিসেবে শক্তি ও উদাহরণের প্রতীক ছিলেন। কঙ্গনার প্রতি তার দাদীর প্রভাব কঙ্গনার জীবন ও ব্যক্তিত্বে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান, এবং তার দাদীর স্মৃতিচারণে কঙ্গনা তার পরিবারের জন্য তার দাদীর অবদানের কথা সবার সাথে শেয়ার করতে পেরে গর্বিত।