হাতে গুনে পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন।প্রেম পরিণতি পাওয়ার পর এটাই প্রথম পুজো কাঞ্চন-শ্রীময়ীর।বিয়ের পর প্রথম দুর্গাপুজো। এ বারের শারদোৎসব তাই অন্য বছরগুলির চেয়ে একেবারে আলাদা এবং অন্য রকম কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিকের কাছে। প্রেম-পর্বে উপহারের বিনিময় থাকলেও উৎসবে একসঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ বিশেষ ছিল না। বিয়ে সেই ছাড়পত্র দিয়েছে। তাই এ বারের পুজোয় জনসমক্ষে কাঞ্চনের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে বেরোলেও লোকজনের কানাঘুঁষোর ভয় নেই বলে জানালেন শ্রীময়ী।২রা অক্টোবর, মহালয়ার হাত ধরে পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। তবু এবার কেমন যেন উৎসবের আমেজ নেই। আরজি করের ঘটনার পর সব আনন্দই যেন বড় ফিকে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর আরও একটি পরিচিতি আছে। তিনি অভিনেতা তথা তৃণমূল- কংগ্রেস বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের প্রাক্তন…
তবে এবার পুজোটা কীভাবে কাটাবেন অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়?
পিঙ্কি, কাঞ্চন মল্লিকের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন বহুদিন হল। তবে পাকাপাকিভাবে ডিভোর্স হয়েছে চলতি বছরের শুরুতেই।সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কীভাবে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন সামলাচ্ছেন তিনি আনন্দে করে। অভিনেত্রী জানান, “যে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।”কাঞ্চনের থেকে আলাদা হওয়ার পর বর্তমানে মা-মাসি ঠাম্মি সাবিত্রি চট্টোপাধ্যায় আর ছেলে ওশকে নিয়েই সংসার পিঙ্কির। একদিকে অভিনয়, সিরিয়ালের শ্যুটিং এবং মা-ঠাম্মির দেখভাল, সবটাই একা হাতে করেন পিঙ্কি। তবে সে প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন পুজোর কটাদিন শহর থেকে দূরেই থাকতে চান তিনি।এবার সকলেই আরজি কর মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন বলে জানান পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। পিঙ্কির কথায়, ওশ কিংবা মা, ঠাকুমা কারোরই মন তেমন ভালো নেই। তাই এবার পুজোয় শহর থেকে দূরে থাকতে পুজোর ৪দিন কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসবেন। তাঁদের পছন্দের জায়গা শান্তিনিকেতন , ফলে সেখানে ঘুরে আসার সম্ভাব্য পরিকল্পনা করছেন।বিতর্ক, প্রতিবাদ ইদানীং এই দুই শব্দই চারিদিকে। আরজি কর কাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত সারা শহর। সেই প্রভাব পড়েছে টলিপাড়ার অন্দরেও। কাঞ্চন এবং পিঙ্কির বিবাহবিচ্ছেদের পর মায়ের সঙ্গেই থাকে তাঁদের ছেলে ওশ। বাবার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। যদিও ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে খবর, সে বাবার সঙ্গে থাকতেও চায় না।এমনকি পিঙ্কি-কাঞ্চনের ছেলে একটি বড় সিদ্ধান্তও নিয়েছে ছোট বয়সে।
অভিনেত্রী বলেন, “পুজোর ছুটি কাটিয়ে স্কুল খুললে বলা হয় কেমন কাটালে পুজোর ছুটি রচনা লিখতে। ওশ বলেছে স্কুলের ম্যামকে বলবে এ বছর যেন এই বিষয়টা না দেয়।” উল্লেখ্য, এই আরজি কর প্রসঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কাঞ্চন। সে প্রসঙ্গে সে ভাবে কোনও মন্তব্য করতে চান না পিঙ্কি। পিঙ্কি জানাচ্ছেন, তাঁর ছেলে ওশ বয়সে ছোট হলেও অনেকটাই পরিণত মনের। এবার সেও কোনও বায়না করেনি। কাঞ্চন মল্লিকের থেকে আইনত ভাবে আলাদা হওয়ার পর একা হাতেই ছেলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।অন্যদিকে শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করার পর এবার তাঁর সঙ্গে কাঞ্চনের প্রথম পুজো। তাই এবার পুজোয় নানা পরিকল্পনার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন শ্রীময়ী।