কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের গর্ভাবস্থার ফটোশুট এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাত মাসের গর্ভাবস্থায় তোলা এই ছবিগুলি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি এর পিছনে রয়েছে একটি মিষ্টি গল্প। শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন—এই দুজনেই বাংলা বিনোদন জগতের পরিচিত মুখ। বিয়ে, সন্তান ধারণ এবং তাদের পরিবার সংক্রান্ত নানা বিষয় প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে। এবার গর্ভাবস্থার এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন তাঁরা।
কাঞ্চন কীভাবে রাজি হলেন?
ফটোশুটের দিন শ্রীময়ী জানালেন যে, কাঞ্চন মল্লিক প্রথমে এই শুটে অংশ নিতে চাইছিলেন না। কাঞ্চন সাধারণত নেট দুনিয়ার দিকে খুব একটা আগ্রহী নন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করা বা ফটোশুট করা, এই সব কিছুই তাঁর কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। এমনকি, শ্রীময়ী নিজেও বলেন যে, “কাঞ্চন তো ফটো তুলতেই চায় না, সে সব সময় বলত, ‘কী দরকার এসব?’”
তবে শ্রীময়ী ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাঁর কাছে গর্ভাবস্থার ফটোশুট ছিল একটি অমূল্য স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করার মত। শ্রীময়ী বলেছিলেন, “আমরা তো অনেক কিছু দেখেছি, কিন্তু মায়ের প্রেগন্যান্সির ফটোশুট হবে এটা তো ভাবাও যায় না। এখন যখন সময় আছে, তখন কেন করব না?” তাঁর মতে, এই মুহূর্তগুলো তাদের পরিবারের জন্য এক ধরনের স্মৃতি হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতে তাদের কন্যা কৃষভি দেখতে পাবে।
শ্রীময়ী এবং কাঞ্চনের এই ফটোশুটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্মৃতি ধরে রাখা। শ্রীময়ী বলেন, “আমরা যখন কৃষভিকে বড় করে দেখাব, তখন সে বুঝতে পারবে আমরা কেমন ছিলাম, এই সময়টা আমাদের জীবনে কীভাবে কাটছিল।” তাঁর মতে, এরকম মুহূর্তগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর মাধ্যমে পরিবারে বন্ধন আরও গভীর হয়।
শ্রীময়ী এবং কাঞ্চনের ছবিগুলোতে রয়েছে খুঁটিনাটি যা তাদের সম্পর্কের গভীরতাও প্রকাশ করে। ম্যাচিং পোশাকের মধ্যে তাদের মিল দেখা গেছে। শ্রীময়ী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাঞ্চনকে জানিয়ে দিলেন, “এটা তো আমাদের জন্য এক ধরনের স্মৃতি, যা ভবিষ্যতে খেয়াল রেখে দেখা যাবে।”
কাঞ্চনের আপত্তি
যদিও কাঞ্চনের মনে ছিল আপত্তি, তবে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, শ্রীময়ী যা করছেন তা একটি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে। তিনি বলেন, “আমাদের বাবা-মায়েরও এমন ফটোশুট হয়নি, তাহলে আমিও কেন করব?” শ্রীময়ী অবশ্য তাঁর এই আপত্তি একেবারে মানতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “কাঞ্চন আমার কথায় রাজি হয়ে গেছে, কারণ আমার জেদের কাছে সে হার মেনেছে।”
এভাবেই শ্রীময়ী কাঞ্চনকে রাজি করিয়েছেন এই বিশেষ মুহূর্তের জন্য, যা তাদের জীবনের একটি অমূল্য স্মৃতি হয়ে থাকবে। শ্রীময়ী মনে করেন, “এগুলিই তো থেকে যাবে, আর কৃষভি বড় হয়ে দেখবে কীভাবে আমরা তখন ছিলাম।”
শ্রীময়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনের নানা মুহূর্ত ভাগ করতে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু কাঞ্চন সাধারণত এসব নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নন। তবে শ্রীময়ী তার ফটোশুটের ছবিগুলি শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে তার ভক্তরা তাতে অনেক ভালোবাসা এবং প্রশংসা জানিয়েছেন। তাদের এই ছবি নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, এটি সত্যিই খুব সুন্দর এবং মিষ্টি মুহূর্ত।
তবে এটা মনে রাখা প্রয়োজন, এই ফটোশুট শুধু একটি ছবি বা পোস্টের চেয়ে অনেক বেশি। এটি একটি পরিবারের গর্ভাবস্থার বিশেষ মুহূর্তকে তুলে ধরার একটি উপায়, যা সব সময়ের জন্য স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে।
এই ফটোশুটের ছবি তোলা হয়েছে ‘তথাগত ঘোষ ফটোগ্রাফি’-র মাধ্যমে, যারা দারুণভাবে মুহূর্তগুলো ক্যাপচার করেছেন। তাদের এই ছবি দেখতে দেখতে যেন এক এক করে উঠে আসে শ্রীময়ী এবং কাঞ্চনের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো।