টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত এবং তাঁর স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বহুদিন ধরে তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে নানা আলোচনা চললেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় সেই আলোচনা আরও গভীরতা পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, নীলাঞ্জনার নিজের নাম থেকে “সেনগুপ্ত” পদবী ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত, যা এই গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছে। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে যিশু এবং নীলাঞ্জনা প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তাঁদের চারপাশে থাকা মানুষজন এবং পরিবারের কিছু বক্তব্যের মাধ্যমে জল্পনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
কি এমন মন্তব্য করলেন রাই??
যিশুর দিদি রাই সেনগুপ্ত সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যা এই বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে আরও আলোচনা তৈরি করেছে। তিনি পোস্টে লিখেছেন, “এত্ত মিথ্যে এত্ত মিথ্যে… সহ্য হবে তো? এক সময় আমায় কর্ম নিয়ে প্রচুর জ্ঞান দেওয়া হয়েছিল। আজ যদি প্রশ্ন করি সেটাই থেকে থাকে, তাহলে কর্ম ক্ষমা করবে তো? সত্যি চিরকাল চাপা থাকে না। সত্যিই যদি নিজের মুখ খুলতে পারতাম। ভগবানও জানে না ও কী ভুল করছে।” রাইয়ের এই পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও, অনুরাগীদের একাংশ মনে করছেন, এটি পরোক্ষভাবে যিশু এবং নীলাঞ্জনার সম্পর্ক নিয়ে কিছু ইঙ্গিত করছে। অনেকেই ধারণা করছেন, রাই হয়তো তার ভাইয়ের ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে কিছু জানাতে চেয়েছেন, কিন্তু তিনি সরাসরি তা প্রকাশ্যে আনতে পারেননি।
নীলাঞ্জনার কি প্রতিক্রিয়া ছিল?
অন্যদিকে, নীলাঞ্জনা কিছুদিন আগে একটি পডকাস্টে অংশ নেন, যেখানে তিনি তার কেরিয়ার এবং মুম্বাই থেকে কলকাতায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি জানান, “প্রথমবার কেরিয়ার ছেড়েছিলাম ভালোবাসার জন্য। মুম্বই ছেড়ে কলকাতা চলে এসেছিলাম। তারপর আবারও ফিরে গিয়ে বম্বেতে টেলিভিশন কাজ করার কথা ভাবিনি। যদিও আমার কাছে সে অপশন অবশ্য ছিল। আমি একথা মাকেও বলেওছিলাম, মা বললেন, করার দরকার নেই।”
নীলাঞ্জনার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায় ,
তিনি তার কেরিয়ার থেকে বিরতি নিয়ে পরিবারকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। পরে, তিনি আবার প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন, কিন্তু পরিবার এবং কাজের ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। তাঁর প্রযোজিত টেলিভিশন সিরিয়ালগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এই পুরো ঘটনার প্রেক্ষাপটে কী ছিল?
যিশু এবং নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ টলিউড মহলে আলোচনা এবং কৌতূহলের বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেকে এই জল্পনাকে বাস্তব মনে করছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটি তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং সিদ্ধান্তের ব্যাপার। তাদের সম্পর্কের সমস্যাগুলির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে যিশুর কাজের ব্যস্ততা, নীলাঞ্জনার নিজের কেরিয়ারে মনোনিবেশ করা, এবং একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে চলার চ্যালেঞ্জকে ধরা হচ্ছে। যদিও যিশু এবং নীলাঞ্জনা উভয়েই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতে চেয়েছেন, তবে তাঁদের চারপাশের মানুষদের মন্তব্য এবং সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে অনুরাগীরা তাঁদের সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্পর্কে নানা অনুমান করছেন।
বিচ্ছেদের পেছনে কোন ঘটনার সত্যতা রয়েছে যা প্রকাশ্যে আসে না?
এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না পাওয়া গেলেও এটি পরিষ্কার যে, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে যেই গুঞ্জন চলছে, তা থামার কোনো লক্ষণ নেই। যিশু এবং নীলাঞ্জনা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা না করলেও, তাদের চারপাশে তৈরি হওয়া এই আলোচনা এবং সামাজিক মাধ্যমের প্রতিক্রিয়া এই গল্পকে আরও জটিল এবং রহস্যময় করে তুলেছে।