জিতু কমল, বাংলা টেলিভিশন ও সিনেমার এক জনপ্রিয় মুখ, এবারের ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানটি অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই শান্তিপূর্ণ এবং সীমিত পরিসরে আয়োজন করেছেন। জানানো যায়, তার কোনো বোন নেই, তাই প্রতি বছর তিনি অভিনেত্রী শোভনা ভুনিয়াকে পাতানো বোন হিসেবে মানেন। এই ধারাবাহিকতায় শোভনা গতকাল, ৩ নভেম্বর, তাকে ভাইফোঁটা দেন। অনুষ্ঠানটি জিতুর বাড়িতে আয়োজন করা হয়, কিন্তু এবারের উৎসবে খুব বেশি জাঁকজমক ছিল না। বরং, এটি ছিল খুবই ছিমছাম এবং সাদামাটা।
জিতু কমলের ভাইফোঁটার উদযাপন….
জিতু কমল বলেন, “আরজি আবহে এবার আমি কোনও উৎসব অনুষ্ঠান নিয়েই সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলছি না, বলতেও চাইছি না।” এর মানে হল, এবারের ভাইফোঁটা নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করতে আগ্রহী নন। এমন পরিস্থিতিতে, তিনি নিজস্ব নিয়মে উৎসব পালন করেন এবং এই বিষয়টি অত্যন্ত ব্যক্তিগত ভাবে নেন।
অন্যদিকে, শোভনা ভুনিয়া একজন প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন অভিনেত্রী। তিনি বহু বছর ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন এবং টলিপাড়ায় বেশ পরিচিত। তার অভিনয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সান বাংলার ‘আশালতা’ ধারাবাহিক, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়া, জি বাংলার ‘কৃষ্ণকলি’, ‘সর্বজয়া’, এবং ‘কাদম্বিনী’ এর মতো সিরিয়ালে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
টেলিভিশন থেকে সিনেমার জগতে,জিতুর যাত্রা কেমন ছিল?
জিতু কমলও টেলিভিশন দুনিয়া থেকে উঠে এসে এখন চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। তাঁর সাম্প্রতিক কাজ হিসেবে ‘অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ’ ছবিটি জুলাই মাসে মুক্তি পেয়েছে এবং এতে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া, তিনি বরাবরই দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন এবং টেলিভিশন থেকে সিনেমায় প্রবেশ করার পরও তিনি তার বিশেষ স্থান ধরে রেখেছেন।
ভাইফোঁটা ও রাখির মধ্যে শোভনার উপস্থিতি এবং তার সঙ্গে জিতুর সম্পর্ক টলিপাড়ার অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করেন, শোভনার এই ভূমিকা জিতুর জীবনে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে। শোভনার প্রতি জিতুর আস্থা এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক কেবল ভাইফোঁটাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন।
এবারের ভাইফোঁটায় শোভনার উপস্থিতি সেই সম্পর্কের একটি উদাহরণ। জিতু কমল ও শোভনা ভুনিয়ার এই বন্ধুত্ব টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ভবিষ্যতে তারা আরও নানা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা দিতে পারেন, যা দর্শকদের কাছে আনন্দের বিষয় হতে পারে।
জিতু কমল ও শোভনা ভুনিয়া দুইজনেই বাংলা বিনোদন জগতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাদের সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা টলিপাড়ার অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এবারের ভাইফোঁটা যতই সীমিত পরিসরে হোক, তাদের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সম্পর্ক একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার পরিচায়ক।