‘জয়া আহসান’, দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতা এবং সৌন্দর্যের জন্য বহুল প্রশংসিত, ৪০-এর কোঠা পেরিয়ে এসেও তারুণ্য এবং সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন। তাঁকে দেখে বোঝা কঠিন যে তিনি মধ্যবয়সে পা রেখেছেন, কারণ তাঁর উজ্জ্বল ত্বক, ঝরঝরে শারীরিক গঠন এবং সতেজ মনোভাব সবসময় আকর্ষণীয়।
কীভাবে তিনি এই তারুণ্য ধরে রেখেছেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকের
জয়ার মতে, শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সঠিক রুটিন মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আর সেটাই তাঁর রহস্য।
‘জয়া আহসানের’ ফিটনেস রুটিনের মূল ভিত্তি যোগাসন। তিনি সবসময় যোগের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন এবং প্রতিদিন সকালে, ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও, যোগাভ্যাস করতে ভুল করেন না। যোগাসন শুধু শরীর নয়, মনের জন্যও অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করেন জয়া। তাঁর মতে, যোগাভ্যাস মন এবং শরীরকে একত্রিত করে, যা ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখে। যোগের পাশাপাশি জিমেও নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তিনি। তারকাদের মধ্যে ফিটনেস রুটিনের অন্যতম অংশ হলো জিম, এবং জয়া এতে ব্যতিক্রমী নন।
কি ধরনের রুটিন মেনে চলেন অভিনেত্রী?
জয়া শুধু যোগাসনেই থেমে থাকেন না। দৌড়ানো এবং পিলাটেসও তাঁর রোজকার ফিটনেস রুটিনের অংশ। এগুলো শরীরের মেদ ঝরাতে এবং ফিটনেস বজায় রাখতে কার্যকর। তাঁর পরামর্শ হলো, সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত এই ধরনের শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন। শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখার পাশাপাশি, জয়ার খাদ্যাভ্যাসও তাঁর সুস্থ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
যারা মনে করেন শরীরচর্চা মানেই খাবারে কড়াকড়ি, তাঁদের জন্য জয়ার ভিন্ন পরামর্শ রয়েছে। তিনি বরাবরই একজন ভোজনরসিক, এবং নিজের পছন্দের খাবার থেকে কখনোই দূরে থাকেন না। বিদেশি খাবার হোক বা বাংলাদেশের পান্তা ভাত, সবকিছুই তিনি সমানভাবে উপভোগ করেন। তবে তিনি খাবারের পুষ্টিগুণের দিকেও নজর রাখেন। তাঁর দিনের শুরু হয় উষ্ণ গরম জল এবং ফল খেয়ে। প্রাতরাশে তিনি ডিমের সাদা অংশ গ্রহণ করেন, যা প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং শরীরের পেশী গঠনে সহায়ক।
জয়ার কাছে শরীরচর্চার মূলমন্ত্র কি??
জয়ার মতে, তারুণ্য ধরে রাখতে কোনো কড়া নিয়মে নিজেকে বাঁধা উচিত নয়। তিনি বিশ্বাস করেন, সাধারণ জীবনযাপনই সব থেকে কার্যকর, তবে তার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সামান্য কিছু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে শরীরের তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব। তাঁর ফিটনেস এবং সৌন্দর্যের রুটিন এতটাই সহজ যে তা যে কেউ নিজের জীবনে অনুসরণ করতে পারেন। কঠোর নিয়মানুবর্তিতার বদলে, জীবনকে সাধারণ ছন্দে চালিয়ে যাওয়াই তাঁর মূলমন্ত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে উৎসবের মরসুমে, জয়া আহসানের মতো তারুণ্য বজায় রাখতে অনেকেই তাঁর এই পরামর্শগুলো অনুসরণ করছেন। ত্বক এবং শরীরের যত্ন শুধু উৎসবের জন্যই নয়, বরং সারা বছরই প্রয়োজন। জয়ার মতে, একটানা যত্নের মধ্যেই রয়েছে সুস্থ, সুন্দর এবং তরুণ থাকার মূল চাবিকাঠি।