ইন্দ্রাণী হালদার, টলিউডের একটি পরিচিত মুখ, সম্প্রতি ভাইফোঁটার উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার পর তার পরিবর্তিত শারীরিক চেহারার জন্য খবরের শিরোনামে এসেছেন। বিশেষ করে, সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি দর্শকদের সামনে তার শারীরিক গঠনের পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেছেন। ভিডিওতে তিনি একটি গভীর আবেগের সাথে জানিয়েছেন, পিঠের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার কারণে গত এক বছর ধরে তিনি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে পারেননি এবং ডাক্তার তার জন্য কোনও ধরনের ব্যায়াম করতে নিষেধ করেছেন।
ইন্দ্রাণী হালদারের অসুস্থতার কারণে পারফরম্যান্সে বিরতি…
কেন এমন পরিবর্তন ঘটেছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি এক বছর ধরে চিকিৎসকের নির্দেশে কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। নিয়মিত কাজ থেকে দূরে থাকার ফলে আমি ভীষণভাবে মানসিক অবসাদে ভুগছি।” ইন্দ্রাণী হালদারের শরীরের গঠন এতটাই পরিবর্তিত হয়েছে যে দর্শকরা তাকে চিনতে পারছেন না। যদিও তিনি জানিয়েছেন যে, স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকলেও বর্তমানে তার ওজন বেড়ে গেছে, যা চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের কারণে হয়েছে।
সাধারণত, ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য নিয়ে টলিউডের অভিনেত্রীরা খুবই সচেতন, কিন্তু ইন্দ্রাণী জানান, তার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের অবস্থা এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছে যে তাকে বাধ্য হয়ে একটি কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে। তিনি শারীরিকভাবে যেমন অবসন্ন, তেমনি মানসিকভাবে তিনি দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, “ওজন নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে আমি সত্যিই খুব দুঃখিত হব। আমি একজন সাধারণ মানুষ, আপনারা যেন এই বিষয়টি বুঝতে পারেন।”
ভাইয়ের স্মৃতির মাঝে একাকীত্ব ও দুঃখ…
ইন্দ্রাণী হালদার আরও জানান, ভাইফোঁটার দিন তার মন খুবই খারাপ থাকে, কারণ বহুদিন আগেই তিনি তার ভাইকে হারিয়েছেন। ভাইফোঁটার উৎসবের আনন্দের মাঝে তার এই গভীর দুঃখ তাকে আরও একবার ভাবায়। তিনি ভিডিওতে বলেন, “আমার ভাইকে হারানোর পর এই দিনটি আমার জন্য বিশেষ হয়ে উঠেছে, কিন্তু একইসাথে খুবই দুঃখজনকও।” তার এই অভিব্যক্তি অনেকের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
এই ঘটনায় ইন্দ্রাণী হালদারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা চলছে। অনেকেই তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকে তার সাহসিকতা এবং শক্তি নিয়ে প্রশংসা করেছেন। অভিনেত্রীদের মধ্যে শারীরিক গঠন এবং স্বাস্থ্য নিয়ে চাপ অনেক বেশি থাকে, তবে ইন্দ্রাণী যে তার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলি খোলামেলাভাবে শেয়ার করেছেন, সেটি তাকে আরও অনেকের কাছে বেশি মানবিক করে তুলেছে।
এখন দেখা যাক, ইন্দ্রাণী হালদার আবার কবে কাজে ফিরবেন এবং তার স্বাস্থ্য কীভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে তার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে প্রমাণিত হয় যে, স্বাস্থ্য এবং মানসিক শান্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের সকলের উচিত ইন্দ্রাণীর মতো ব্যক্তিত্বের প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতি দেখানো।