শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো, কিন্তু মন ভালো নেই শহর বাসীদের। আর জি কর কান্ডের পর অনেকগুলি দিন অতিক্রান্ত। তবে থেমে থাকেনি প্রতিবাদের ঝড়। এখনো উত্তাল রাজ্য থেকে রাজনীতি। এই মুহূর্তে বেশকিছু জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন ধর্মতলা চত্বরে। তাঁদের অবস্থা দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী সহ আরো বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র জগতের মানুষেরা। তাঁরা সকলেই চিন্তিত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে।
কেন চিন্তিত সুদীপ্তা?
সুদীপ্তা চক্রবর্তী শুরু থেকেই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। করেছেন একের পর এক প্রতিবাদী পোস্ট। তবে এই অভিনেত্রীর প্রতিবাদ থেমে থাকেনি সমাজমাধ্যমের পাতায়। শারীরিকভাবে আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেত্রী, তাঁর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “ এটা কতদিন চলবে? , কীভাবে চলতে পারে এভাবে? কিচ্ছু বুঝতে পারছি না”। সেখানে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে নিজের চিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দেখা গেল অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত, উষসী চক্রবর্তী এবং অভিনেতা সৌম্য ব্যানার্জিকে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গেল সুদীপ্তা চক্রবর্তীর পাশাপাশি প্রত্যেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্তের অভিযোগ ডাক্তারদের জন্য যে বায়ো টয়লেটের আয়োজন করা হয়েছে সেটা কেন তুলে দেওয়া হয়েছে? তাঁর মতে এই কাজ ভীষণ নিষ্ঠুর।
কী বললেন আন্দোলনকারীরা?
অন্যদিকে সেখানে অবস্থানরত দুজন ব্যক্তিদের তাঁদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ওনাদের মধ্যে একজন বলেন তাঁরা চান এই বিষয়টা বৃহৎ পরিসরে নিয়ে যেতে যাতে এরপর আর কোনও নির্ভয়া, অভয়া বা হসরাত যেন না হয়। ওই ব্যক্তি আরও বলেন যে তাঁদেরকে বলা হয়েছিল কাজে ফিরতে তাঁরা সেটাই করছিলেন তবে তাঁদের দাবি মেনে হাসপাতালের কাজ মাত্র শেষ হয়েছে বাইশ শতাংশ। তাঁদের মতে জুনিয়র ডাক্তাররা ধর্মতলার যে জায়গায় বসে অনশন করছেন সেখানে কয়েক ঘণ্টায় কারা আসছে যাচ্ছে সেই মানুষদের উপর নজর রাখার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা বসে যায় তবে তাঁদের সামান্য দাবি পূরণ হয় না। সেই ব্যক্তির কথায় সুর মিলিয়ে আরেকজন বলেন একজন মহিলার সামান্য চাহিদা কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা এর বেশি কিছু তো নয়। সুদীপ্তা চক্রবর্তী তাঁদের সমর্থন করে জানান, মানুষগুলোর দাবি তো সামান্য, হাতি ঘোড়া কিছু তো নয়।
এর সঙ্গে সঙ্গে দেবলীনা দত্ত বলেন চাইলেই একদিনের মধ্যেই সমস্ত মিটমাট করে নেওয়া যায়। তাঁর সঙ্গে ডাক্তারদের জন্য বসানো বায়ো টয়লেট প্রসঙ্গে তিনি আবারও বলেন এটাও একটা বেসিক চাহিদা তাহলে পুলিশের বায়ো টয়লেট থাকতে পারলে ডাক্তারদের জন্য বসানো বায়ো টয়লেট কেন সরিয়ে দেওয়া হবে?
এই ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে সাধারণ মানুষেরাও নিজেদের দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদেরকে নিয়ে