আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। ক্রমশ জোরালো হচ্ছে প্রতিবাদের আওয়াজ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এক পরিচালকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করলেন শ্রীলেখা মিত্র। মালায়ালম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিত এর বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের স্বাক্ষাতকারে এবিষয়।শ্রীলেখা মিত্র জানিয়েছন, ২০০৯ সালে একটি মালায়ালাম ছবির শুটিং-এর জন্য কোচি যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। দক্ষিণ সিনেমার জনপ্রিয় পরিচালক রঞ্জিতে “পালেরি মানিক্যম” ছবিতে কাজ করার সুযোগ এসেছিল তাঁর। আর সেখানেই নাকি তিনি যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন।
এবিষয় তিনি আরও জানান, কোচিতে পৌঁছে সকালে শুটিং সেটে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রে। সেখানে তাঁর ফটোশুটও হয়। ছবির কস্টিউম এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয় সেখানে। সেদিন বিকেলে তাঁকে ডাকা হয়েছিল সিনেমা সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করার জন্য পরিচালকের বাড়িতে। সেখানে গিয়েও ছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
পরিচালক রঞ্জিতের বাড়িতে যখন অভিনেত্রী যান সেই সময় ফোনে কথা বলছিলেন পরিচালক এবং তাঁর বাড়ির ড্রয়িং রুমে আরও অনেকেই বসেছিলেন। সেইমুহূর্তে, পরিচালক ইশারার মাধ্যমে বেডরুমে আসার কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন পরিচালক রঞ্জিত। সেখানে যেতেই পরিচালক অশালীন আচরণ করেন বলে দাবি করেন শ্রীলেখা মিত্র। অভিনেত্রী সেই মুহূর্তেই সতর্ক হয়ে যান। এরপর আর বিন্দুমাত্র অপেক্ষা না করে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
এই ঘটনার পর কোচির হোটেলে আতঙ্কে সারা রাত ঘুমাতে পারেননি তিনি। জেগেই কাটিয়েছিলেন গোটা রাত।
পরে অবশ্য এই কারণে রঞ্জিত পরিচালিত “পালেরি মানিক্যম” ছবিতে কাজ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এই অভিযোগ সামনে আসতেই কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় তাঁকে। অন্যদিকে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিনী পরিচালক রঞ্জিত।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বারবার সরব হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এবার নিজের এমন অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি।
সিনেমা করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার! পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ শ্রীলেখার
