হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়লেন পরিচালক সুভাষ ঘাই। মুম্বইয়ের লীলাবতি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৭৯ বছরের পরিচালকের শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা রয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল। আচ্ছন্ন ভাবও ছিল। সেই কারণেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালককে আইসিউতে রাখা হয়। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পরিচালক সুভাষ ঘাই। গত বুধবার থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার রাতে খবর প্রকাশ্যে আসে।
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় পরিচালক সুভাষ ঘাই,
১৯৭৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কালীচরণ’। সেই থেকে শুরু তাঁর সিনেমা পরিচালনার সফর। কালীচরণ সিনেমার পর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক কাজ করেছেন, ‘কর্জ’, ‘বিধাতা’, ‘হিরো’, ‘মেরি জং’, ‘রাম লক্ষ্মণ’, ‘সওদাগর’, ‘খলনায়কে’র মতো সিনেমা নিয়ে। সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের উপহার দিয়েছেন, ‘ত্রিমূর্তি’, ‘পরদেশ’, ‘তাল’, ‘ইয়াদেঁ’র মতো সিনেমা। পরিচালক হিসেবে তাঁর শেষ সিনেমা ছিল ‘কাঁচি’। তবে এই সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব একটা সাফল্য পায়নি। তবে ওই সিনেমার আগে পরিচালক সুভাষ ঘাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর করা যা কাজ উপহার দিয়েছেন তা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর এক বিশাল অবদান।কথা হচ্ছে পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের। যে মানুষটি তাঁর কর্মজীবনে ঐতিহ্যভরা মূল্যবান সিনেমা দর্শক ও ইন্ডাস্ট্রিকে উপহার দিয়েছেন তা আগামী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত দামী সম্পদ হয়ে আছে। তবে সিনেমার জগতে মূল্যবান ভূমিকা রাখা এই মানুষটি হঠাৎই অসুস্থ। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। ভক্তরা বেশ চিন্তিত বর্তমানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। সঙ্কায় দিন কাঁটছে অনেকের।
বর্তমানে শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা ভালো সুভাষ ঘাইয়ের
হাসপাতালে প্রবীণ পরিচালকের খেয়াল রাখছেন ভারতের অভিজ্ঞ ও সুনিপুণ চিকিৎসকদের একটি টিম। এই টিমের মধ্যে নিউরোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও পালমোনোলজিস্ট রয়েছে বলেই খবর। শোনা গিয়েছে, এখন শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বর্ষীয়ান পরিচালকের। তবে এখনই পুরোপুরি সুস্থ তাঁকে বলা যাচ্ছে না। ঝুঁকির সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই সেটা কিন্তু। তাই আরও কিছুটা সময় চিকিৎসকরা দেখতে চান। হয়তো এক বা দুই দিনের মধ্যে পরিচালকে জেনারেল বেডে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন
মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্ম সুভাষ ঘাইয়ের। তাঁর বাবা ছিলেন দাঁতের ডাক্তার। ছাত্রজীবনে হরিয়ানা থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছিলেন পরিচালক। এরপরই ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ পুণেতে ভর্তি হয়ে যান পরিচালক। সেখান থেকেও গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করে চলে আসেন মুম্বইয়ে। প্রথমে নাকি স্টুডিওতে ঢোকার অনুমতি পর্যন্ত পেতেন না পরিচালক। কিন্তু পরে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তিনি দেশের প্রথম সারির পরিচালকদের একজন। সালমান খান বা ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের মতো তারকাদের অত্যন্ত কাছের মানুষ তিনি।