সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না বলিউড অভিনেতা নাগা চৈতন্যর জীবন থেকে। নতুন সংসার শুরু করলেও পুরনো স্মৃতি নিয়ে বারবারই সমালোচনার শিকার হচ্ছেন অভিনেতা।কোন্ডা সুরেখা দাবি করেন, নাগা, সামান্থার সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ঢুকে পড়েন তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাও। নায়িকাদের ফোনে আড়ি পেতে হাঁড়ির খবর খুঁজে বের করার অভ্যাস ছিল কেটির। তারপর সে তথ্য দিয়ে নায়িকাদের ব্ল্যাকমেইল করত। মাদকের নেশা ধরাতে বাধ্য করত। যা পরিণতিতে ডেকে আনতো বিবাহবিচ্ছেদ।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুর সঙ্গে নাগার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশ মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী কোন্ডা সুরেখা।বার বার ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ সম্বোধন করেছেন তিনি। এই বিষয়টি নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। একজন ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘বার বার ‘স্ত্রী’ সম্বোধন করলেন। অথচ একবারও সামান্থার নাম উচ্চারণ করলেন না।’ আরেকজনের ভাষ্য, ‘সামান্থার নাম কি মুখেও আনা যায় না?’এখানেই শেষ নয়।
নেটিজেনদের সমালোচনা
বিবাহ বিচ্ছেদের পরে নেটিজেনদের একাংশ সামান্থার দিকে অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ও চুপ ছিলেন নাগা চৈতন্য। কোনও প্রতিবাদ করেননি। সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন সামান্থার অনুরাগীরা।সুরেখার বিস্ফোরক মন্তব্যে চটে যান সামান্থা ও নাগা দুজনেই। এ প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে সামান্থা লেখেন, আমার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা অত্যন্ত ব্যক্তিগত। এ বিষয়টি সম্পর্কে কোনো রকম মন্তব্য করা থেকে দয়া করে দূরে থাকুন। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলি না মানে এই নয়— সে বিষয়ে যা তা যে কেউ বলতে পারবেন।১৫০ শব্দের দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সামান্থার পক্ষে নাগা কথা বললেও কোথাও অভিনেত্রীর নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। বরং সামান্থাকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘প্রাক্তন স্ত্রী’। আর এতেই নেটিজেনদের সমালোচনায় পড়েছেন অভিনেতা।সমালোচনা এখানেই শেষ নয়।
নেটিজেনরা বলছেন, নাগার সঙ্গে সামান্থার সম্পর্কের ভাঙন শুরু এন কনভেনশন সেন্টার থেকে। হায়দরাবাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর নাগার কনভেনশন সেন্টারের একাংশ ভেঙে ফেলে আগস্টে।তৎকালীন মন্ত্রী কেটি আর নাগাকে জানান, সামান্থাকে তার কাছে পাঠালে কনভেনশন সেন্টার ভাঙন রুখে দেবেন তিনি। কিন্তু এতে সায় ছিল না সামান্থার। যে কারণে শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন অভিনেত্রী।