বর্তমান সময়ে বলিউড এবং বাংলা ইন্ডাস্ট্রির তারকারা শুধুমাত্র তাদের অভিনয় জন্যই নয় বরং তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা জন্য পরিচিত।ফিটনেস এবং ডায়েট মেনে চলা এখন তারকাদের জীবনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা হয়ে উঠেছে।
বলিউড তারকা প্রতিদিন তাদের শরীরচর্চার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা জোগান। শিল্পা শেট্টি, মালাইকা আরোরা, সোনাম কাপুর, হৃতিক রোশন, অনিল কাপুর, শাহরুখ খান, টাইগার শ্রফ এরম আরো অনেক তারকাদের প্রায়শই তাদের জিম, ডায়েট প্ল্যান শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি তারকাদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করেন। রুক্মিণী, দেব , প্রসেনজিৎ, মিমি আরো অনেক তারকারা তাদের ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট চার্ট নিয়ে সচেতন।
বলিউড এবং বাংলা ইন্ডাস্ট্রি তারকারা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্যই জনপ্রিয় তা নয়, এমনকি তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারণের জন্যও উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার সাথে এমন একটি ঘটনা ঘটে, যখন অতিরিক্ত শরীরচর্চা ও ডায়েটের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন খিদে পেয়ে রাতে রান্নাঘরে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং পরে চিকিৎসকের পরামর্শে জানা যায় যে, তার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। এই ঘটনা তারকাদের জীবনের চাপ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি বাস্তব উদাহরণ, যেখানে কাজের প্রয়োজনে তাদের শরীরে দ্রুত পরিবর্তন আনতে হয়।
সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যু, ফিটনেস রুটিন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার চর্চার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলিউড এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় এই অভিনেতা তাঁর ফিটনেস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিয়ে সচেতন ছিলেন, তবুও ২০২১ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু সবাইকে চমকে দেয়। এই দুঃখজনক ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে শুধুমাত্র ফিটনেস এবং ডায়েট রুটিন মেনে চলা যথেষ্ট নয়; স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অংশ হিসেবে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সঠিক চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণও অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত শরীরচর্চা এবং কঠোর ডায়েটও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ না করা হলে। সিদ্ধার্থ শুক্লার ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা শুধুমাত্র বাহ্যিক নয়, বরং অভ্যন্তরীণ দিক থেকেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই, তারকাদের ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার সময় নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।