আর জি কর কান্ডের জেরে চাপানউতোর চলছে গোটা দেশ জুড়ে। দিকে দিকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা রাস্তায় নেমেছেন বিচার চাওয়ার আশায়। সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে নানান নামীদামী ব্যক্তিরাও সামিল হয়েছেন এই আন্দোলনে। এই ঘটনার ফলে সকলের মনে প্রশ্ন জেগেছে , মেয়েদের সুরক্ষা কোথায়? কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নারী সুরক্ষা বিষয়ক একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল যে , সম্ভবত মহিলাদের রাতের ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। আর এই ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন নারী থেকে পুরুষ সকলে। কারণ এমন অনেক পেশা রয়েছে যেখানে নাইট ডিউটি বাধ্যতামূলক। তেমনি একটি পেশা হল অভিনয়। যেখানে তারকাদের অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং করতে হয়। রাজ্যের এমন উত্তাল পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অভিনেত্রীরা তাদের অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। বাদ গেলেন না অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর। তিনি জানিয়েছেন, এখনকার অভিনেত্রীরা তাদের পোশাক বদলানোর জন্য ভ্যানিটি ভ্যান পান। কিন্তু তিনি যে সময় অভিনয় করতেন সেই সময় পোশাক বদলানোর জন্য ভরসা ছিল রাস্তায় থাকা ঝোপঝাড়।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তের অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরকে দেখা যাচ্ছে অন্য ভূমিকায়। তিনি এই মুহূর্তে একটি ডান্স রিয়ালিটি শোয়ের বিচারকের দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিযোগীদের ডান্স পারফরমেন্স দেখতে দেখতে তিনি শেয়ার করলেন তার সময়কার অভিনয়ের টুকরো টুকরো মুহূর্তের কথা। অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর বললেন, ” এখন বলিউডের শুটিং সেটের বাইরে সকল অভিনেত্রীদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং ব্যয়বহুল ভ্যানিটি ভ্যান দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের সময়ে এইসব কিছুই ছিল না।” তাহলে তার সময়ে সকল অভিনেত্রীরা কিভাবে পোশাক বদলাতেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তার চোখে আসে জল। তিনি জানান, আউটডোর শুটিং হলে সেই সময় তাদের একমাত্র ভরসা ছিল খোলা আকাশ এবং আশেপাশে থাকা ঝোপঝাড়। সেগুলোই একটি আড়ালের কাজ করতো। সেখানেই তাদের পোশাক বদলাতে হত। এমনকি শৌচাগার যাওয়ার প্রয়োজন হলেও তাদের সেখানেই যেতে হত। এই সমস্ত কারণে অভিনেত্রীরা অনেক সময় বিরক্ত এবং হতাশ হয়ে পড়তেন। কিন্তু তিনি যেহেতু এই পেশাটাকে খুব ভালবাসতেন তাই তিনি সরে আসতে পারেননি।
এছাড়াও অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর জানালেন, যে সর্বপ্রথম বলিউডে “দিল তো পাগল হে” ছবিতে মনিটরের ব্যবহার করা হয়। অভিনেত্রীর কথায় সেই সময় একটা শট সম্পূর্ণ হলে তারা একেবারে ছুটে এসে মনিটরে পর্যবেক্ষণ করতেন। তিনি আরও জানান শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত “জুবেইদা” চলচ্চিত্রে অভিনয় চলাকালীন তার প্রথম সাউন্ড সিঙ্কের অভিজ্ঞতা হয়।
তবে করিশ্মা কাপুরের কথায় এই বিষয়ে স্পষ্ট বোঝা গেছে যে তিনি যে সময় বলিউডে অভিনয় করতেন সেই সময়ের হিসেবে বিচার করলে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নতুন যুগের অভিনেত্রীরা অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে কাজ করতে পারছেন বলিউডে।