এআর রহমান, ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী, সম্প্রতি তার স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। বিচ্ছেদের পর তিনি একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি তার বংশীবাদক মোহিনী দে-এর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ছড়ানো গুজব এবং মানহানিকর ভিডিওগুলো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য নিন্দুকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
এআর রহমানের বিচ্ছেদ এবং সামাজিক মিডিয়ায় গুজব….
২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, এআর রহমান তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি আইনি চিঠি শেয়ার করেন। চিঠিতে তিনি সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে অনুরোধ করেন, যেন তারা তার ও মোহিনী দে-এর সম্পর্ক নিয়ে ছড়ানো যেকোনো মানহানিকর ভিডিও বা বিষয়বস্তু দ্রুত সরিয়ে ফেলে। এআর রহমান তাদের বলে দেন যে, যদি তারা ওই ভিডিওগুলো সরিয়ে না ফেলে, তাহলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। তিনি তার পেশাগত জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে যে কোনো মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিচ্ছেদের পর এআর রহমানের আইনি পদক্ষেপের কারণ….
এআর রহমান এবং মোহিনী দে, দুইজনেই তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে চাননি। তবে বিচ্ছেদের কিছু সময় পরেই তাদের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে, যা তাদের সামাজিক পরিচিতি এবং ভাবমূর্তিকে আঘাত করেছে। গুজবের মধ্যে ছিল যে, এআর রহমান এবং মোহিনী দে-এর মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল, যা তাদের বিবাহিত জীবনকে প্রভাবিত করেছে। এই ধরনের গুজব ছড়ানোর ফলে তাদের জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এজন্যই তারা এই আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন, যাতে তাদের নামের সঙ্গে কোনোরূপ মিথ্যাচার করা না হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরানোর নির্দেশ….
এআর রহমানের নোটিশে আরও বলা হয়েছে, তিনি সামাজিক মাধ্যমে যেসব মানহানিকর ভিডিও বা পোস্ট দেখা যাচ্ছে, সেগুলো দ্রুত সরানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি, তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে গুজব ছড়ানোর জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
এআর রহমানের এই পদক্ষেপটি তার পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ছিল। এই ধরনের গুজব এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তার এবং তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত বিরক্তিকর হতে পারে। তাই তিনি এটি একদমই সহ্য করতে চান না এবং এই ধরনের বিষয়গুলো দ্রুত বন্ধ করার জন্য আইনি সাহায্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
এআর রহমান এবং সায়রা বানুর মধ্যে দীর্ঘ ২৯ বছরের সম্পর্কের শেষে তাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। এই সম্পর্কটি অনেক বছর ধরে সামাজিকভাবে পরিচিত ছিল, এবং তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক ছিল বলে অনেকেই জানতেন। কিন্তু এই বিচ্ছেদ নিয়ে নানা ধরনের গুজব এবং প্রশ্ন উঠেছে। বিচ্ছেদের পরপরই এআর রহমান এবং মোহিনী দে-এর মধ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন তৈরি হয়। যদিও এই সম্পর্কের ব্যাপারে তারা কেউই সরাসরি কিছু বলেননি, তবুও সামাজিক মিডিয়ায় নানা ধরনের অনুমান ছড়িয়ে পড়ে।
এআর রহমান একজন বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক, যিনি তার কাজের জন্য বহু পুরস্কৃত। তার সঙ্গীত বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং তার ভক্তদের মধ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, ব্যক্তিগত জীবনে তার এই ধরনের ঘটনা কিছুটা অস্বস্তিকর হতে পারে। এমনকি তার পরিবারও এই ঘটনার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু সহ্য করছে।
এই ঘটনায়, এআর রহমানের আইনি পদক্ষেপটি শুধু তার ব্যক্তিগত জীবনের সুরক্ষা নয়, বরং তার পেশাগত ভাবমূর্তির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি চাইছেন, তার কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে কোনো বিভ্রান্তি বা অসঙ্গতি না তৈরি হোক।