বলিউড মানে একদিকে যেমন ভাল সিনেমা পরিচালনা অভিনয়ে নিয়ে আলোচনা উল্টো দিকে অভিনেতা অভিনেত্রীর নিয়ে গসিপ ও চলে জোড় কদমে । সেলেবদের ব্যক্তিগত জীবনে ঠিকই চলছে সেই নিয়ে মানুষের আগ্রহ তুমুল। কফি উইথ কারন শো এর জনপ্রিয়তা তার সাক্ষী দেয়। কে কাকে ডেট করছেন কার ব্রেকআপ হল এই নিয়ে অনুরাগীদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই আর ঠিক সেরকমই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অর্জুন মালাইকার জুটি। দুএক কথায় অর্জুন-মালাইকা অর্জুন কাপুর, বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তাঁর বাবা বনি কাপুর বলিউডের একজন খ্যাতনামা প্রযোজক, তাই বাবার সংস্পর্শে থেকে অর্জুন ছোট থেকেই সিনেমার প্রতি অনুরাগী।
অর্জুন কাপুরের প্রথম সিনেমা ছিল “ইশকজাদে” (২০১২), যেখানে তিনি পরিণীতি চোপড়ার বিপরীতে অভিনয় করেন। এই সিনেমায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। এরপর একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা যেমন “গুন্ডে,” “২ স্টেটস,” “কি অ্যান্ড কা”এবং “হাফ গার্লফ্রেন্ড”-এ দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
মালাইকা অরোরা বলিউডের এক বহুমুখী তারকা, যিনি ফ্যাশন, ফিটনেস এবং নাচের জগতে নিজের অনন্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।কেরিয়ারের শুরুতে মডেলিং এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেন।মালাইকার বলিউড যাত্রা মূলত আইটেম নম্বর দিয়ে শুরু হয়। তার নাচের প্রতিভা প্রথম নজরে আসে “ছাইয়া ছাইয়া” গানের মাধ্যমে, যা মণি রত্নমের ‘দিল সে’ (১৯৯৮) সিনেমার একটি কালজয়ী গান। শাহরুখ খানের সঙ্গে ট্রেনের ওপর তার নাচের দৃশ্য আজও দর্শকদের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে। এরপরে তিনি “মুন্নি বদনাম হুয়ি” (দাবাং) এবং “আনারকলি ডিসকো চলে” (হাউসফুল ২)-এর মতো জনপ্রিয় গানে অভিনয় করে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেন। এছাড়াও ফিটনেস আইকন হিসাবে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলগুলিতে ফিটনেস রুটিন এবং হেলথ টিপস নিয়মিত চোখে পড়ে।
৫১ বছর বয়সেও নিজের ফিগার ধরে রেখেছেন তিনি।অর্জুন – মালাইকার প্রেমের সম্পর্ক প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মালাইকা তার ব্যক্তিগত জীবনকে নতুনভাবে সাজিয়েছিলেন এবং অর্জুন কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে বেশ আলোচনায় ছিলেন। নিজের মুখে পরিষ্কার ভাবে না জানালেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট, একাধিক জায়গায় একসঙ্গে ছবি দেখে বোঝা গিয়েছিল সম্পর্কে রয়েছেন তারা।বিচ্ছেদের পর কিন্তু সেই সম্পর্কেরও বিচ্ছেদ ঘটেছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট দেখা যায় দুজনেরই। তবে অর্জুন যেন এখনও ভুলতে পারছেন না মালাইকাকে। আচমকাই ইনস্টাগ্রামে স্টোরি দিয়েছেন “অনেক অপেক্ষা করেছি। ধৈর্য ধরেছি। তবে আমি জানি আমার ভাগ্যে ভালোবাসা অবশ্যই আছে।”উল্টাদিকে কয়েকদিন আগেই মালাইকা নিজের স্টাইলিস্ট এর সঙ্গে ছবি দিয়ে লিখেছিলেন “তোমার সঙ্গে” ঠিক তারপরই অর্জুনের এমন পোস্ট বেশ গুরুত্বপূর্ন।
বাকযুদ্ধ মালাইকা অরোরার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অর্জুন জানিয়েছিলেন তিনি সিঙ্গেল। জীবনে কেউ নেই । আবার মালাইকাও স্পষ্ট স্টোরিতে লিখেছেন “ যারা আমাকে ভালোবাসেনা তাঁদের নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই।” এ যেন একরকম পরোক্ষ বাকযুদ্ধ চলছে। সঙ্গে চলছে কাজও। রোহিত শেট্টির “ সিংগম এগাইন” ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন অর্জুন কাপুর। অনুরাগীদের বেশ লেগেছে তাঁর অভিনয়। কিন্তু এখনও যেন মন খারাপের চাদর থেকে বেরোতে পারছেন না অভিনেতা।