সম্প্রতি, আলিয়া ভাট তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে এমন কিছু গুজব এবং ট্রলিংয়ের কড়া জবাব দিয়েছেন, যা তার সম্পর্কে ছড়ানো হচ্ছিল। ভিডিওটিতে আলিয়াকে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং তার সৌন্দর্য চর্চার রুটিন নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিওটি তৈরি করার পেছনে প্রধান কারণ ছিল কিছু সমালোচকদের সেই দাবি, যারা বলছিলেন যে আলিয়া কসমেটিক সার্জারি বা সৌন্দর্য বৃদ্ধির অন্যান্য প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়েছেন। এই অভিযোগের জবাব হিসেবে আলিয়া স্পষ্টভাবে বলেন যে তিনি কোনো কসমেটিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাননি এবং তার সৌন্দর্যের যত্নের রুটিন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়েই বজায় রাখেন।
আলিয়া বলেন, “তুমি কি আমার সাথে মজা করছো?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি সমালোচকদের দিকে ইঙ্গিত করেন যারা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। তার এ বক্তব্য স্পষ্টভাবে তার আত্মবিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত পছন্দের প্রকাশ। আলিয়া বিশ্বাস করেন যে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গ্রহণ করা এবং নিজের ত্বক ও চেহারার প্রতি যত্নশীল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন যে, মানুষের যা ইচ্ছা তা তারা বলতে পারে এবং সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের প্রতি বিশ্বাসী থাকা দরকার।
এই ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক মাধ্যমে আলিয়ার ভক্তরা তাকে ব্যাপক সমর্থন জানান। তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্ভীক ব্যক্তিত্বের জন্য তাকে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। ভক্তরা তার এ সৎ এবং খোলামেলা বক্তব্যকে কেবল একটি ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখেননি বরং এটিকে সমাজে সৌন্দর্যের আদর্শগুলোর বিরুদ্ধে একটি বার্তা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আলিয়ার এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেখাতে চেয়েছেন যে, সৌন্দর্য শুধুমাত্র বাহ্যিক নয়, বরং এটি নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করার মধ্যেও নিহিত।
আলিয়ার এই প্রতিক্রিয়া অনেকের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে,
বিশেষ করে তাদের জন্য যারা নিজেদের শরীর বা চেহারা নিয়ে অন্যদের নেতিবাচক মন্তব্যের মুখোমুখি হন। আলিয়া বারবার বলেছেন, তিনি সমালোচনাকে পেছনে রেখে নিজের উপর আস্থা রাখার চেষ্টা করেন এবং প্রতিদিন নিজের সেরা সংস্করণ হওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন যে, প্রত্যেকেরই নিজেকে গ্রহণ করার এবং নিজের মতো করে সুন্দর অনুভব করার অধিকার রয়েছে।
তবে, আলিয়ার এই বক্তব্যকে সমর্থন করার পাশাপাশি কিছু মানুষ আবার ট্রলিং এবং নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকে। তাদের মতে, অনেক সেলিব্রিটি নিজেদের সৌন্দর্য নিয়ে স্বচ্ছ থাকতে চায় না এবং বাস্তবে কী ঘটে তা লুকিয়ে রাখে। আলিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তিনি নিজের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ করছেন না এবং কোনো না কোনোভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাহায্য নিয়েছেন। তবে, আলিয়া এই সমালোচনাগুলোকে পাত্তা দেননি এবং তার ব্যক্তিগত বিশ্বাসে অটল থেকেছেন।
এই বিতর্কের মধ্য দিয়ে আলিয়া ভাট কেবল নিজের বক্তব্য রেখেছেন ?
বরং তিনি তার ভক্ত এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছেন। তার কথাগুলো সৌন্দর্য সম্পর্কিত সামাজিক প্রচলিত ধারণা এবং তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করে। তিনি মনে করেন, সৌন্দর্যের কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড থাকা উচিত নয়, এবং প্রতিটি ব্যক্তি নিজেকে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করা উচিত।
আলিয়া ভাটের এই অবস্থান তাকে কেবল একজন অভিনেত্রী হিসেবেই নয়, বরং একজন সাহসী এবং আত্মবিশ্বাসী নারীর প্রতিচ্ছবি হিসেবে প্রমাণ করে, যিনি নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অন্যদেরকেও সেই একই বার্তা দিতে চান। তার কথাগুলো অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে, যারা নিজেদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী থাকতে চান এবং সমাজের চাপকে মোকাবিলা করতে চান।