‘অভিষেক বচ্চন’ এবং ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ বচ্চন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। তবে গত কয়েকদিন ধরেই এই জুটির বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নীরবতা ভাঙেননি দু’জনের কেউই।তবে কি ‘অভিষেক বচ্চন’ এবং ‘ঐশ্বর্য রাই’ বচ্চনের সম্পর্কের ভাঙনের পিছনে রয়েছে অন্য ঘটনা?
এমনিতেই বচ্চনদের সাংসারিক অশান্তি নিয়ে কম লেখালেখি চলছে না। তারই মাঝে ঘি ঢালল নতুন এক তথ্য। শোনা যাচ্ছে, রাই সুন্দরীকে ছেড়ে জুনিয়র বচ্চন মন দিয়েছেন অন্য নায়িকাকে।
কিন্তু কে সেই নায়িকা?
‘ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের’ সম্পর্ক ২০০২ সালে শুরু হয়, যখন তারা একটি ছবির শ্যুটিং এর সময় একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন। ২০০৭ সালে বিয়ের পর তাদের জীবন এক নতুন মোড় নেয়। তাদের একমাত্র কন্যা আরাধ্যা বচ্চন, যিনি এই দম্পতির জীবনে আনন্দ ও সুখের উৎস। তবে সম্প্রতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের গুজব এবং আলোচনা চলমান, যা জনমানুষে প্রশ্ন তুলেছে।
শোনা যাচ্ছে, ‘দসবী’ ছবির সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গেই গোপনে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিষেক। যে কথা জানতে পারার পর তুমুল অশান্তি শুরু হয় তারকা দম্পতির মাঝে।একাধিক বলিউড প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে নাকি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিষেক।
সম্প্রতি ‘মুকেশ আম্বানি’ ছোট ছেলে ‘অনন্ত আম্বানি’ বিয়ের একটি ভিডিয়োয় এক ঝলক দেখা গিয়েছে ‘অভিষেক-ঐশ্বর্য’ এবং তাঁদের মেয়ে ‘আরাধ্যা বচ্চন’ একসঙ্গে পারিবারিক মুহূর্ত কাটাচ্ছেন।
তবে বার বার কেন তাঁদের সমীকরণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে ?
গত কয়েক মাস ধরে বচ্চন পরিবারকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। শোনা যাচ্ছে জুনিয়র বচ্চন অর্থাত্ অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের।
শোনা যাচ্ছে, ‘অমিতাভ বচ্চন’ তাঁর বাংলো শ্বেতার নামে লিখে দেওয়ার পর থেকেই শুরু যত সমস্যা। এখন আর মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে একই বাড়িতে থাকেন না তাঁরা। নিজের ফ্ল্যাটে আলাদা থাকেন। তবে এখনও পর্যন্ত বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। মুকেশ অম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতেও আলাদা আলাদা এসেছিলেন ঐশ্বর্য এবং বচ্চন পরিবার। তার পরেই আরও জোড়াল হয় আলোচনা।
এদিকে, ‘ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের’ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোতে তাদের সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য নেই। তারা নিজেদেরকে গুজব থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট। বেশিরভাগ সময়ই তারা একসঙ্গে পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন, যা তাদের সম্পর্কের সুস্থতা নির্দেশ করে
।অবশেষে, প্রশ্ন হলো—এই গুজবগুলি কতটা সত্যি? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া সাধারণ মানুষের কাছে অনেক তথ্য ছড়িয়ে দেয়, কিন্তু সেটি সবসময় সঠিক হয় না।