নব্বই এর দশক থেকে কর্মজীবন শুরু। ” কয়ামত সে কয়ামত তক” সিনেমার প্রেমময় চকলেট বয়, “দিল হ্যায় কি মানতা নেই” বা “রাজা হিন্দুস্তানি” এর মত সিনেমায় প্রেমিকের রূপে হৃদয় জয় করেছিলেন তিনি। ঠিক তাই, সেই আমির খান সময়ের সঙ্গে অভিনয় দক্ষতা ও বহুমুখী পছন্দের কারণে ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন আরও চিন্তাশীল ও এক্সপেরিমেন্টাল।
এরপরই জনপ্রিয় হয় “লাগান”। “থ্রি ইডিয়টস্ “-এ রাঞ্চো জীবনের প্রকৃত অর্থ দিয়ে মন ছুঁয়েছিল আপামর জনতার। আবার “পিকে”র নির্ভীক এবং সৎ ভিনগ্রহবাসীর চরিত্রটি সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে। আমিরের প্রতিটা চরিত্র মানুষকে শুধু বিনোদন দেয়নি বরং গভীর ভাবে ভাবতে শিখিয়েছে। এই গভীরতা তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনকেও ছুঁয়ে গেছে।
বিরতির ভাবনা
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রাক্তন স্ত্রী ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা কিরণ রাওকে নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি ভাগ করে নিয়েছেন জীবনের নানা পর্যায়ের কথা। সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায় যে কোভিডের সময়ই তিনি উপলব্ধি করেন জীবনের বেশিরভাগ সময় সিনেমাকে দিয়েছেন এবার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। “লাল সিং চাড্ডা”র মুক্তির পরই তাই নেন প্রায় এক বছরের বিরতি। তবে বন্ধু কিরণ ও সন্তানদের সঙ্গে আলোচনার পর সেই ধারণা পরে বদলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জীবন নিয়ে উপলব্ধি
জীবনের ক্ষণস্থায়ীত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে অভিনেতা বলেন “জীবনের ওপর ভরসা করা যায় না। আমরা কালও মারা যেতে পারি। তাই যখন ভাবলাম সিনেমা ছাড়ছি না, তখনই ভাবনা এসেছিল যে এটি হবে আমার সক্রিয় জীবনের শেষ দশক”।
তবে কেরিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে সে কথা মানতে মোটেই রাজি নন কিরণ। এই প্রসঙ্গে তিনি ক্লিন্ট ইস্টিউডের উদাহরণ দেন। আমির অবশ্য বলেন ক্লিন্ট একজন বিরল মানুষের উদাহরণ।
নতুন ছবি
নিজেকে একজন এক্সট্রিম মানুস হিসাবে ব্যাখ্যা করে আমির বলেন একসঙ্গে ছয়টি কাজ হাতে নিয়েছেন যা তাঁর কর্মজীবনে প্রথম। তবে তাঁর পরবর্তী ছবি “সিতারে জামিন পার” নিয়ে বেশ আশাবাদী অভিনেতা। “তারে জামিন পার ” এর থেকেও এই সিনেমা তার আরও বেশি পছন্দের হতে চলেছে। অনুভূতির সঙ্গে হাস্যরসের ছোঁয়া পাবেন দর্শকরা।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
শিল্পী হিসাবে শিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্ব প্রসঙ্গেই খান বলেন ” আমি ৫৯-এ পা দিয়েছি। আশা করি, ৭০ বছর পর্যন্ত কাজ করার মত সুস্থ থাকবো। এই শেষ দশকটা আমার জন্য খুব গুরুতবপূর্ণ হতে চলেছে। আমি এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই যেখানে প্রতিভাবান, সৃজনশীল লেখক, গায়ক, পরিচালকরা সুযোগ পাবেন যাদের আমি বিশ্বাস করি। অবসরে যাওয়ার আগেই এমন কিছু রেখে যেতে চাই যা ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান হবে “। জীবনের এই পর্যায়ে এসে কাজই তাঁকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করছে।
শেষ কথন
আমির খানের জীবন যেন নিজেই একটা সিনেমার গল্পের মতো – শুরুতে জোর কদমে কাজ তারপর বিরতি, উপলব্ধি এবং নতুন শুরুর এক অসাধারণ মিশ্রণ। ঠিক সেই কারণেই তাঁর এই নতুন পথচলা দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন ভক্তরা।
নতুন করে মনের দরজা খুলছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া বচ্চন !
November 18, 2024[…] আমির খানের নতুন অধ্যায়: এক বছরের বিরত… […]
আল্লু অর্জুন এর রণবীর কাপুরের প্রতি প্রশংসা!
November 18, 2024[…] আমির খানের নতুন অধ্যায়: এক বছরের বিরত… […]