প্রত্যেক প্রজন্মের কাছেই ছোট থেকে গল্প হিসেবে বারবার ফিরে এসেছে রামায়ণ। একটা সময় ছিল যখন অনেকের বাড়িতেই টেলিভিশন ছিল না। বইয়ের পাতায় পড়া গল্পকে চোখের সামনে দেখতে পাড়ার একজনের বাড়িতেই ভিড় জমাতেন প্রতিবেশীরা। ১৯৮৭ সালে প্রথম ধারাবাহিক হিসেবে সম্প্রচারিত হয় রামায়ণ। এরপর অ্যানিমেশন হিসেবে বড়পর্দায় আসে এই মহাকাব্য। প্রায় ৩২ বছর পর ফের একবার বড় পর্দায় আসতে চলেছে এই অ্যানিমেশন ছবিটি।
প্রসঙ্গত, ইন্দো-জাপানি প্রযুক্তিতে ১৯৯২ সালে তৈরি হয়েছিল এই অ্যানিমেশন ছবিটি। ভারত এবং জাপানের প্রযুক্তি ব্যবহার করেই নির্মিত হয়েছিল এই ছবিটি। জাপানের উগো সাকো এবং ভারতের রামমোহন দুই দেশের যৌথ প্রযোজনা তৈরি হয়েছিল এটি।
উল্লেখ্য, সেসময় অ্যানিমেশনের কাজ ছিল যথেষ্ট জটিল। প্রথমে হাতে এঁকেই তৈরি করা হত অ্যানিমেশন। এরপর বদলেছে যুগ, বদলেছে সময়। উন্নত হয়েছে প্রযুক্তিবিদ্যা। সহজ হয়েছে পদ্ধতি। তবুও আজও সেই হাতে তৈরি পুরনো ছবি একইভাবেই প্রাসঙ্গিক দর্শকদের কাছে।
অ্যানিমেশন এ রামায়ণ কথা
গল্প অনুযায়ী, বিজয়া দশমী আর দীপাবলির মধ্যবর্তী সময়ে ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে লঙ্কা থেকে বিদায় নিয়ে নিজ রাজ্য অযোধ্যার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন রামচন্দ্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সীতা, ভাই লক্ষ্মণ, হনুমান এবং বানরসেনা। সেই কথা মাথায় রেখেই, চলতি বছর পুজোর মরসুমে অর্থাৎ আগামী ১৮ অক্টোবর ফের একবার বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে এই প্রথম ভারতীয় মহাকাব্যের প্রথম অ্যানিমেশন ছবিটি।
আরও পড়ুন
অ্যানিমেশন ছবি রামায়ণ: দ্য লেজেন্ড অফ প্রিন্স রাম
“রামায়ণ: দ্য লেজেন্ড অফ প্রিন্স রাম” ছবিটি হিন্দি, তামিল, তেলুগু সহ ইংরেজি ভাষায় মুক্তি পেতে চলেছে। ৩২ বছর পর ফের একবার ভারতের অন্যতম মহাকাব্যের প্রথম অ্যানিমেশন ছবি দেখানোর অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দর্শকরা।