৯০ এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও আবার বিশ্বসুন্দরী সুস্মিতা সেন। বাঙালির গর্বের এই মেয়ে কদিন বাদে ৫০ এ পা দেবেন। তবু তাঁর সৌন্দর্যে পড়েনি ভাটা। নভেম্বরের ১৯ তারিখে ৪৯ এ পা দেবেন অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। ১৯ বছরে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। এক বাঙালি তরুণী গালে টোল ফেলা হাসি আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে গোটা বিশ্বের মন কেড়ে নিয়েছিলেন, তাঁকে ঘিরে সেই একই রকম ভাললাগার রেশ রয়েছে দর্শকের মনে।
সুস্মিতার সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শক
মাঝের কয়েক বছরে আরও বেশি সুন্দরী হয়ে উঠে সুস্মিতা। সুস্মিতাকে ঘিরে ভক্তদের মুগ্ধতা বেড়েছে। তাঁরা অবাক হয়েছেন দেখে, বহু দিন পর্দার বাইরে থাকার পরও একেবারে নতুন যুগের ওটিটি সিরিজে সুস্মিতা কী ভাবে সমস্ত আলোটুকু নিজের দিকে কেড়ে নিতে পারেন। মুগ্ধ হয়েছেন ভেবে, কী ভাবে এখনও প্রায়শই পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই সুস্মিতা অদ্ভুত সব শারীরিক কসরত করতে পারেন এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তার ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট করতে পারেন! পর্দায় দেখাতে পারেন অবিশ্বাস্য সব কেরামতি।
সুস্মিতার সঙ্গে তাঁর এককালের সহ-অভিনেতা শাহরুখ খানের মিল রয়েছে। সাফল্যের কথা জানতে চাইলেই দুজনেই বলেন, সাফল্যের একটিই ফর্মুলা আছে। আর সেটা হল কঠোর পরিশ্রম। সুস্মিতার ফিটনেস প্রশিক্ষক বলছেন, সুস্মিতা ফিট থাকার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তাঁর অধ্যবসায় দেখে মাঝেমধ্যে নিজেই মুগ্ধ হয়ে যান প্রশিক্ষক নুপূর শিখরে নিজেই। তিনিই জানিয়েছেন, সুস্মিতার ফিটনেস রুটিন।
৫০ ছুঁইছুঁই সুস্মিতার ভাল থাকার রহস্য কী?
আন্তর্জাতিক পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নুপূরকে বলতে শোনা গেছে, প্রতি সপ্তাহে নিজের বাড়ির জিমে অন্তত চারটি ‘সেশন’ করেন সুস্মিতা। প্রত্যেকটি ‘সেশন’ হয় দু’ঘণ্টা করে। আজ পর্যন্ত কোনও দিন নাকি সুস্মিতা ওই চারটে ‘সেশন’ মিস করেননি। নুপূর জানিয়েছেন, সুস্মিতা এখন মন দিয়েছেন তাঁর শরীরের ওজন আর পেশির নমনীয়তার দিকে। এ ছাড়া পেট, ছাতি, কোমর, কোমরের নীচের অংশ, তলপেট এবং উরুর সন্ধির পেশি মজবুত করার এক্সারসাইজও করেন নিয়মিত।
নতুন কোন এক্সারসাইজ নিয়ে জানতে পারলে সেটা নিয়ে গবেষণা করেন সুস্মিতা। তার পরে সেই এক্সারসাইজ তাঁর শরীরের জন্য কী ভাবে উপযোগী হতে পারে, সেটাও নিজেই ঠিক করে ফেলেন। সুস্মিতা ইদানীং তাঁর দৈনন্দিন ফিটনেস রুটিনে যোগ করেছেন ক্যালিস্থেনিক্স, এরিয়াল সিল্ক যোগা, রক ক্লাইম্বিং, মার্শাল আর্টের মতো অনেক কিছু। এ সবই সুস্মিতার গবেষণার ফসল বলে জানাচ্ছেন নুপূর।
খাবারদাবারের ব্যাপারেও সুস্মিতা যথেষ্ট সচেতন।সুস্মিতা খাবার ব্যাপারে যথেষ্ট রুটিন মেনে চলেন। সময় ধরে বাঁধাধরা খাওয়াদাওয়া করেন। পেট ভর্তি বলে কোনও একটি সময়ের খাবার বাদ দেন অনেকেই। সুস্মিতা কক্ষনও তা করেন না। সাধারণত সুস্মিতার খাবারের বেশির ভাগটাই জুড়ে থাকে শাকসব্জি আর গ্রিল করা মাছ। এর পাশাপাশি প্রচুর জল খান সুস্মিতা। অবাক করা বিষয় হলো এমন একটি পানীয়, যা ছাড়া সুস্মিতার দিন শুরু হয় না, তা হল নিমপাতার রস আর মধু।
সুস্মিতার ফিটনেস রুটিনের পুরোটা জুড়েই যে কঠোর পরিশ্রম ও শৃঙ্খলা আছে তা বেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে। তবে তার সঙ্গে আরও রয়েছে নিজের প্রতি ভাল লাগা, নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টাও। নুপূর বলছেন, সুস্মিতাকে দেখলে বোঝা যায়, সে যেটা করেন সেটা ভালবেসেই করেন। আর শৃঙ্খলাকে যদি ভালবেসে ফেলা যায়, তবে তা মেনে চলার অনুপ্রেরণা এমনিই চলে আসে।